ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

কাবা শরিফ দেখলে বা ওমরাহ করলে কি হজ ফরজ হয়?

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৪ মে ২০২৪ - ০৪:০৬:২৩ পিএম

ডেস্ক নিউজ : আল্লাহ তাআলা বলেন,وَلِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا

অর্থাৎ, মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বাইতুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ করা ফরজ। (সুরা আলে ইমরান ৯৭)
 
সামর্থ্য দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, হজের মৌসুমে কারো কাছে প্রয়োজন অতিরিক্ত এ পরিমাণ সম্পত্তি থাকা, যার মাধ্যমে যানবাহনে করে সে মক্কায় আসা-যাওয়া করতে পারে। যাদের ভরণ-পোষণ তার জিম্মায় রয়েছে হজ থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত তাদের খরচ নির্বাহ করতে সক্ষম হয়। 
 
এমনিভাবে বর্তমানে ভিসা ও হজ আদায়ের অনুমতিও আইনীভাবে হজের সামর্থ্যরে অন্তর্ভুক্ত। আগের যুগে যেহেতু ভিসার আইনী বাধ্যবাধকতা ছিল না, তাই হজের মাসসমূহে কেউ উমরাহ করতে মক্কায় পৌঁছে গেলে বাকি দিনগুলো সেখানে অবস্থান করত হজ আদায় করতে কোনো আইনী বাধা ছিল না। 
 
এজন্য ফুকাহায়ে কেরাম এমন ব্যক্তিকে সামর্থ্যবান গণ্য করে তার উপর হজ ফরজ হওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু উমরার ভিসা দ্বারা হজ করা বা হজ পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করার সুযোগ নেই, সেজন্য এখন হজের মৌসুমেও উমরা করার দ্বারা হজ ফরজ হবে না। (আলমাসালিক ফিল মানাসিক ১/২৫৭; যুবদাতুল মানাসিক, পৃষ্ঠা ২১, ইরশাদুস সারি ইলা মানাসিকি মুল্লা আলী আলকারী, পৃষ্ঠা ৪১, ইমদাদুল আহকাম ২/১৬৩)
 
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, تَعَجّلُوا إِلَى الْحَجِّ يَعْنِي الْفَرِيضَةَ فَإِنّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِي مَا يَعْرِضُ لَهُ তোমরা দ্রুততর সময়ের মধ্যে ফরয হজ্ব আদায় কর। কেননা তোমাদের কেউই একথা জানে না যে, আগামীতে তার ভাগ্যে কী আছে। (মুসনাদে আহমাদ ২৮৬৭)
 
হযরত উমর (রা.) বলেন, من أطاق الحج فلم يحج، فسواء عليه يهوديا مات أو نصرانيا যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্ব করল না তার ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করা আর খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করা সমান কথা। (তাফসিরে ইবনে কাসির ২/৮৪)

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০৪ মে ২০২৪,/বিকাল ৪:০৫

▎সর্বশেষ

ad