ডেস্ক নিউজ : ইফতার রোজার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইফতারের মাধ্যমে সমাপ্তি। তাই ইফতার সুন্নত পদ্ধতিতে করা আবশ্যক। কিন্তু মানবিক প্রবৃত্তি, ভুল ধারণা ও স্থানীয় প্রচলনের কারণে মানুষ কিছু ভুল করে থাকে, যা পরিহার করতে পারলে রোজাগুলো অনেক বেশি সুন্দর হবে।
সূর্যের পুরো বৃত্ত অদৃশ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতারের সময় হয়। আর সে সময় হলো মাগরিবের নামাজের আগে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘…অতঃপর নিশাগম (রাতের আগমন) পর্যন্ত তোমরা সিয়াম (রোজা) পূর্ণ করো…।’ -সুরা বাকারা : ১৮৭
রোজার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে ইফতারের জন্য প্রত্যেক রোজাদারের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা স্বাভাবিক। অতএব ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রিয় নবী (সা.) আমাদের দ্রুত ইফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষ ততক্ষণ মঙ্গলে থাকবে, যতক্ষণ তারা (সূর্য ডোবার পর নামাজের আগে) ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে।’ -সহিহ বোখারি : ১৯৫৭
অতএব দেখার বিষয় হলো সূর্যাস্ত- আজান নয়। সুতরাং রোজাদার যদি নিজ চোখে দেখে যে সূর্য ডুবে গেছে; কিন্তু মোয়াজ্জিন এখনো আজান দেয়নি, তাহলেও তার জন্য ইফতার করা বৈধ।
ইফতার করে নামাজ পড়ার পর প্রয়োজনীয় আহার ভক্ষণ করবে রোজাদার। অবশ্য যদি আহার প্রস্তুত থাকে, তাহলে প্রথমে আহার খেয়েই নামাজ পড়বে। যেহেতু হজরত আনাস (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাতের খাবার উপস্থিত হলে মাগরিবের নামাজ পড়ার আগে তোমরা তা খেয়ে নাও। আর সে খাবার খেতে তাড়াহুড়া কোরো না।’ -সহিহ বোখারি : ৬৭২
কিউটিভি/অনিমা/২৮ মার্চ ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:৪১