
স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ডে চলমান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসের (ডব্লিউসিএল) সেমিফাইনালে আগামী ৩১ জুলাই মুখোমুখি হওয়ার কথা ভারত চ্যাম্পিয়নস ও পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের। কিন্তু এই হাইভোল্টেজ সেমিফাইনাল ঘিরে এখন তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ।
গ্রুপ পর্বে ভারত চ্যাম্পিয়নস রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে ম্যাচটা খেলেনি। সেই ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। নিয়মানুসারে ওয়াকওভার পেয়ে পাকিস্তানের পকেটেই দুই পয়েন্ট যাওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে দুই দলকেই একটি করে পয়েন্ট দেওয়া হয়। শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং ও ইরফান পাঠানের মতো সাবেক তারকা তখন স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন না।
এমন সিদ্ধান্তকে কেউ সমর্থন করেছেন, আবার অনেকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—যেখানে ভারতীয় জাতীয় দল এশিয়া কাপ ২০২৫ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে, সেখানে সাবেক ক্রিকেটারদের এমন বয়কট কেমন বার্তা দিচ্ছে?এই বিতর্কের মাঝেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে নিজেদের স্পনসরশিপ প্রত্যাহার করে নেয় ‘ইজমাইট্রিপ’। তারা জানায়, ‘সন্ত্রাস আর ক্রিকেট একসাথে চলতে পারে না।’
সেমিফাইনালে যদি ভারত চ্যাম্পিয়নরা আবারও খেলতে অস্বীকার করে, তাহলে তিনটি বড় প্রভাব পড়তে পারে। প্রথমত, পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নরা ওয়াকওভার পেয়ে সরাসরি ফাইনালে উঠে যাবে। দ্বিতীয়ত, ডব্লিউসিএল আরও সমালোচনার মুখে পড়বে এবং আর্থিক ক্ষতির শিকার হবে। তৃতীয়ত, ভারতীয় দলের অবস্থান নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠবে—একদিকে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে, অন্যদিকে ডব্লিউসিএলে খেলছে না!
তবে যারা বয়কটকে সমর্থন করছেন, তারা বলছেন—‘এটা জাতীয় দল নয়, বরং অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের দল। তারা চাইলে নীতিগত অবস্থান নিতে পারেন।’তবে শেষ পর্যন্ত ভারত চ্যাম্পিয়নরা মাঠে নামবে কি না, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।
আয়শা/৩০ জুলাই ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৪৩