
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি শীত মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ার সীমান্তে প্রাচীরের প্রথম অংশটি নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ফিনিশ বর্ডার গার্ড কর্তৃপক্ষ। এটি হবে ২০ মাইল দীর্ঘ। ২০২২ সালের জন্য সম্পূরক বাজেটে ফিনল্যান্ড সরকার দক্ষিণ কারেলিয়া প্রদেশের ইমাত্রায় তিন কিলোমিটার প্রাচীর নির্মাণের জন্য ৬ কোটি ইউরোর তহবিল প্রস্তাব করেছে। প্রাচীরের প্রথম অংশটি নির্মাণের জন্য এটি একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে কাজ করবে।
আগামী বছরের বাজেটে পরবর্তী দুই বছরে আরো ৭০ কিলোমিটার প্রাচীর নির্মাণের জন্য ১৩ কোটি ৯০ লাখ ইউরো বরাদ্দ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই ব্যয় হবে দক্ষিণ-পূর্ব ফিনল্যান্ডের রুশ সীমান্ত বরাবর। প্রাচীরের উচ্চতা হবে ১০ ফুটের মতো। তবে রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের সীমানা ১৩৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ হওয়ায় আপাতত পুরো সীমান্ত বরাবর প্রাচীর নির্মাণ করা হবে না। শুধু নির্বাচিত কিছু স্থানে তা করা হবে বলে ফিনিশ বর্ডার গার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইসমো কুরকি বলেছেন, ‘প্রাচীরটি নির্মাণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে সীমান্তের দুই প্রান্তের যান ও মানুষের চলাচল অধিকতর দৃষ্টিগোচর, ধীর ও নিয়ন্ত্রিত করা। ’
সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের সিদ্ধান্ত গত জুনেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন ফিনিশ পার্লামেন্ট এমন একটি আইন পাস করে যা এই প্রাচীর নির্মাণের কাজকে সম্ভব করে তোলে। সীমান্ত আইন সংশোধন করে রাশিয়ার সঙ্গে থাকা পূর্ব সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল ফিনল্যান্ড। ইউক্রেনে রুশ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নানা ধরনের হুমকি মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
ফিনল্যান্ড সরকার খুব দ্রুততার সঙ্গে সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কারণ হিসেবে বলেছিল, রাশিয়া তার সীমান্ত দিয়ে বিপুলসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী ‘পুশ-ইন’ করে ফিনল্যান্ডের ওপর এক ধরনের কৃত্রিম চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ইইউ’র সদস্য দেশগুলোর সীমান্তের যেকোনো অংশ দিয়ে আশ্রয় লাভের জন্য প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার অধিকার রয়েছে অভিবাসীদের। রুশ সেনাদের সম্ভাব্য অভিযানে বাঁধা দেওয়া এবং সীমান্তে টহলব্যবস্থাকে আরো সহজ করাও ছিল সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ।
কিউটিভি/আয়শা/২১ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ১০:২০