ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

superadmin | আপডেট: ১২ জুন ২০২২ - ১১:৪৭:৩১ এএম

ডেস্কনিউজঃ তিস্তার পানি এখন বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। রোববার সকাল ছয়টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি ছিল বিপদসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচে। যেকোনো মুহূর্তে তা বিপদসীমা ছারিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যেই হু হু করে বাড়তে থাকা তিস্তার পানি ঢুকেছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে। বাড়ি-ঘরে ঢুকছে পানি। তলিয়ে গেছে বাদামসহ উঠতি ফসল। বড় বন্যার আতঙ্কে দিন কাটছে তিস্তাপাড়ের মানুষের।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে তিস্তায় গত বুধবার রাত ৯টা থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ওই সময় থেকে ৫১ দশমিক ৮৩ থেকে বেড়ে রোববার সকাল ছয়টায় হয়েছে ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ৫২ দশমিক ৬০ এর মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচে। এ কারণে তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে ও কোনো কোনো স্থানে যেকোনো মুহূর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।

এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত ৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১২ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৬৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

পানি বৃদ্ধি হওয়ায় এই নীলফামারীর ডিমলার ছাতনা এলাকা থেকে জলঢাকা, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারি, সদর, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারি, এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরের ব্রহ্মপুত্র নদ পর্যন্ত অববাহিকার ৩৫২ কিলোমিটার এলাকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে এই সব এলাকার উঠতি বাদাম, আমনের চারা, পাট, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে পানির তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। বড় বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।

এদিকে বন্যার আগাম প্রস্তুতির উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন রংপুর মহাগর কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু।

বিপুল/১২.০৬.২০২২/সকাল ১১.৩৯

▎সর্বশেষ

ad