ব্রেকিং নিউজ
আই হ্যাভ আ প্ল্যান : তারেক রহমান সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার : তারেক রহমান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের খবর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনে বিতর্কিতদের প্রশ্রয় : শংকিত জেলাবাসী গণতন্ত্রের জন্য চলা সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব : মির্জা ফখরুল ঢাকায় এমপি প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মমতাজ হোসেন লিপিকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে রৌমারীতে মশাল মিছিল আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামঃ অভিযোগের ঝড় খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি

৭২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে ‘ফুটবলের পিকাসো’

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১২:৩২:২২ পিএম

স্পোর্টস ডেস্ক : নটিংহ্যাম ফরেস্টের সাবেক স্কটিশ উইঙ্গার জন রবার্টসন মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বৃহস্পতিবার ক্লাবটি এই খবর নিশ্চিত করেছে। ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নটিংহ্যাম ফরেস্টের কিংবদন্তি এবং প্রিয় বন্ধু জন রবার্টসনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তিনি আমাদের ক্লাবের এক সত্যিকারের মহান খেলোয়াড়। তিনি দুইবার ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছেন। জনের অসাধারণ প্রতিভা, বিনয় আর ফরেস্টের প্রতি তার অটুট ভালোবাসা কখনও ভুলে যাওয়া হবে না।’

জন রবার্টসনের জন্ম স্কটল্যান্ডের ল্যানার্কশায়ারে। তার জন্ম তারিখ ২০ জানুয়ারি ১৯৫৩। তিনি ১৭ বছর বয়সে নটিংহ্যাম ফরেস্টে যোগ দেন। শুরুতে তিনি মাঝেমধ্যে মিডফিল্ডে খেলতেন। ১৯৭৫ সালের শুরুতে ব্রায়ান ক্লাফ দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ক্যারিয়ার বদলে যায়। ক্লাফ তার আত্মজীবনীতে প্রথম দেখার কথা লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘এত অদ্ভুত চেহারার পেশাদার ক্রীড়াবিদ খুব কমই দেখা যায়। এলোমেলো, ফিট না, আগ্রহহীন এবং সময়ের অপচয়।’ তবে ক্লাফ আরও লিখেছিলেন, ‘কিছু একটা আমাকে বলেছিল, ওকে নিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে।’

ক্লাফ তাকে লেফট উইংয়ে খেলান। সেখানে রবার্টসন দারুণ করেন। ১৯৭৭ সালে ফরেস্ট শীর্ষ লিগে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে তারা লিগ জেতে। এরপর টানা দুইবার ইউরোপিয়ান কাপ জেতে। রবার্টসনকে নিয়ে ক্লাফ বলেছিলেন, তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘আমি যতজন ফুটবল খেলোয়াড় দেখেছি, তাদের মধ্যে সবচেয়ে নিখুঁত পাস দেওয়া খেলোয়াড়দের একজন। ব্রাজিলিয়ান বা ইতালিয়ানদের মতোই দুর্দান্ত। ওকে বল আর এক গজ জায়গা দিলেই হতো। ও ছিল একজন শিল্পী। আমাদের খেলার পিকাসো।’

১৯৭৯ সালে মিউনিখে ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে ফরেস্ট ১-০ গোলে জেতে। সেই ম্যাচে ট্রেভর ফ্রান্সিসের জয়সূচক হেডের সুযোগ তৈরি করে দেন রবার্টসন। পরের বছর মাদ্রিদের ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন হামবুর্গের ম্যানি কাল্টজ। ম্যাচের আগে ক্লাফ বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে এক ছোটখাটো মোটা ছেলে আছে। সে ওকে ঘুরিয়ে দেবে।’ সেই ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন রবার্টসন নিজেই।

স্কটল্যান্ডের হয়ে তিনি ২৮টি ম্যাচ খেলেছেন। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ছিল পাঁচ বছরের। তিনি ১৯৭৮ ও ১৯৮২ বিশ্বকাপে খেলেন। ১৯৮৩ সালে তিনি ডার্বিতে যোগ দেন। পরে আবার নটিংহ্যাম ফরেস্টে ফেরেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি কোচ হন। সাবেক সতীর্থ মার্টিন ও’নিলের সঙ্গে তিনি উইকম্ব, নরউইচ, লেস্টার, সেল্টিক ও অ্যাস্টন ভিলায় কাজ করেন।

 

 

আয়শা/২৬ ডিসেম্বর ২০২৫,/দুপুর ১২:৩০

▎সর্বশেষ

ad