
আন্তর্জাতিক ডেক্স : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অপর অংশ পশ্চিম তীরে নতুন করে ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। দেশটির কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিবিদ ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, স্মোতরিচ নিজেও পশ্চিম তীরে বসবাসকারী একজন দখলদার বসতি স্থাপনকারী। পশ্চিম তীর অঞ্চলে বসবাসরত ইসরায়েলি সেটলারদের মধ্যেই তিনি অন্তর্ভুক্ত।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে সৌদি আরব। পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, পশ্চিম তীরে ইসরাইলের দখলদারিত্ব কার্যক্রমের ধারাবাহিক সম্প্রসারণ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং একই সঙ্গে প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎকে গুরুতর হুমকির মুখে ফেলছে।
দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে আসছে ইসরায়েল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শাসনামলে গত প্রায় তিন বছরে এই কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে এই হিসাব নতুন করে অনুমোদিত ১৯টি বসতির আগের। সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে গত তিন বছরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতির সংখ্যা পৌঁছাবে ৬৯টিতে। এ বিষয়ে স্মোতরিচ বিবিসিকে জানান, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি ‘কবর দেওয়ার’ লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি স্থাপনবিরোধী ইসরায়েলি সংগঠন পিস নাও-এর তথ্যমতে, বর্তমানে পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতির সংখ্যা ১৬০টি। এসব বসতিতে প্রায় ৭ লাখ ইসরায়েলি বসবাস করছেন।
কুইক টিভি/ মহন / ২২ ডিসেম্বর ২০২৫,/ সকাল ১১:১৪






