
স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বজয়ী ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর ও পর যেন ফরোয়ার্ড ভর করে বসেছিল। টটেনহ্যাম দুবার পিছিয়ে পড়েছিল, দুই বারই তিনি গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন। শেষ বার যখন গোলটা করলেন, তখন আবার বাংলাদেশিদের মনে করিয়ে দিলেন ২০ দিন আগের দারুণ এক স্মৃতি। ঢাকার মাঠে নেপালের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক বাইসাইকেল কিকে গোল করেছিলেন হামজা চৌধুরী, একইভাবে গত রাতে টটেনহ্যামকে সমতায় ফিরিয়েছেন ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী রোমেরো। প্রতিপক্ষের মাঠে বিরতির ঠিক পরেই টটেনহ্যাম গোল খেয়ে বসে। ব্রুনো গিমারেশের গোলে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল। ৭১তম মিনিটে হজম করা সেই গোলের জবাব স্পার্সরা দেয় ৭ মিনিট পর। ৭৮ মিনিটে মোহামেদ কুদুসের ক্রসে দারুণ এক হেডারে গোল করেন তিনি।
তবে ৮৬ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় নিউক্যাসল। তার জবাবেই আসে রোমেরোর এই গোল। ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে কর্নার থেকে আবার গোলটি রোমেরো। গোলের সামনে তালগোল পাকানো অবস্থায় নিউক্যাসল বল বিপদমুক্ত করতে পারেনি। ক্রস থেকে বল পেয়ে রোমেরো লাফিয়ে উঠে বাইসাইকেল কিকে করে বসেন, সেটাই গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। ইউরোপীয় ফুটবলে বাইসাইকেল কিকের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচদের নজির আছে এমন গোল করার। তবে রোমেরো এবারই প্রথম করলেন, ঠিক যেমন জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজা করেছিলেন। কাকতালীয়ভাবে জাতীয় স্টেডিয়ামে স্ট্রাইকার না হয়েও হামজা করেছিলেন ২ গোল, দল ২-২ গোলে ড্র করেছিল। রোমেরোও ২ গোল করলেন, তার দলও ঠিক তাই করল গত রাতে।
কুইক টি ভি/মহন/ ৩ ডিসেম্বর ২০২৫/দুপুর ২:৩০






