
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মানবিক সহায়তা হিসেবে সমুদ্রপথে শ্রীলঙ্কায় ২০০ টন ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি, ভারত বিমানপথে ত্রাণ পাঠাতে না দেওয়ায় সমুদ্রপথকেই বেছে নিতে হয়েছে তাদের।
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ’র প্রভাবে বন্যা ও ভূমিধসে চার শতাধিক মানুষের মৃত্যু ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর দেশটিকে সহায়তার অংশ হিসেবে এই ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইসলামাবাদ বলছে, ভারতের কারণে বিমানপথে ত্রাণ পাঠাতে বাধার সৃষ্টি হয়। আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি না মেলায় ত্রাণবাহী বিশেষ বিমান ৬০ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে থাকে। এ বিষয়ে নয়াদিল্লি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অভিযোগ ‘রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা’।
গত মাসের শেষ দিকে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ আঘাত হানার পর শ্রীলঙ্কাজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। যা দেশটির সরকারকে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য করে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা, যাতে অন্তত ৪১০ জন নিহত হয়েছেন ও নিখোঁজ রয়েছেন ৩৩৬ জন। হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন; সড়ক, অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহতে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীলঙ্কার সহায়তায় সমুদ্রপথে ২০০ টন মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার জনগণের প্রতি সংহতিও জানানো হয়েছে।
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা কেন্দ্র করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তান নৌবাহিনীর একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কায় উদ্ধার তৎপরতায়ও অংশ নিচ্ছে।
সূত্র: আরব নিউজ
অনিমা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,/দুপুর ১:৫২






