
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ও স্বয়ংক্রিয় সুপার টর্পেডো ‘পোসেইডন’-এর সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে রাশিয়া। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বয়ংক্রিয় এই সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছেন। পুতিন বলেছেন, রাশিয়া পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন একটি স্বয়ংক্রিয় পোসেইডন সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে করেছে এবং এটি দুর্দান্ত এক সাফল্য।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পোসেইডন সুপার টর্পেডো সম্পর্কে প্রকাশ্যে তেমন নির্ভরযোগ্য কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এটি মূলত একটি স্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক টর্পেডো; যা তেজস্ক্রিয় সুনামি কিংবা সমুদ্র ঢেউ সৃষ্টি করে উপকূলীয় শহরগুলোকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে পারে।
পুতিন বলেন, এটি বিশাল এক সাফল্য। পোসেইডনের শক্তি আমাদের সারমাত আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের (যা এসএস-এক্স-২৯ বা স্যাটান টু নামে পরিচিত) চেয়েও বেশি। ‘‘পোসেইডনের ক্ষমতা এমনকি আমাদের সবচেয়ে উন্নত সারমাত ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তিকেও অনেকাংশে ছাড়িয়ে গেছে।’’
এর এক সপ্তাহ আগে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বুরেভেস্তনিকের সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করেন ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বের যেকোনও ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। দেশটি এখন এই অস্ত্র মোতায়েনের দিকে অগ্রসর হবে বলে জানান তিনি।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন সুপার টর্পেডো ‘‘পোসেইডন’’ ও ‘‘বুরেভেস্তনিক’’ ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে ঘোষণা দেন পুতিন। তিনি এসব অস্ত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ এবং ওয়াশিংটনের ২০০১ সালে ১৯৭২ সালের অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসা ও ন্যাটো জোট সম্প্রসারণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করেন।
এর আগে, গত বুধবার পুতিন স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীর প্রস্তুতি ও কমান্ড কাঠামোর মহড়া তত্ত্বাবধান করেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, আমাদের পারমাণবিক প্রতিরোধ শক্তির আধুনিকায়ন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। যা অন্য যেকোনও পারমাণবিক শক্তিধর দেশের চেয়েও উন্নত।
বর্তমানে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের প্রায় ৮৭ শতাংশের মালিকানা রয়েছে। দুই দেশের হাতে থাকা এই পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার পৃথিবীকে কয়েক বার ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ঠ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের সংগঠন ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের (এফএএস) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ার কাছে ৫ হাজার ৪৫৯টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ৫ হাজার ১৭৭টি।
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।
আয়শা/২৯ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:১১






