
ডেস্ক নিউজ : পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের শাখারিয়া থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেছেন শতাধিক তরুণ। স্বেচ্ছাশ্রমে সম্পন্ন এ উদ্যোগে সড়কটি হয়ে উঠেছে ঝকঝকে ও নিরাপদ। তরুণদের এই মানবিক পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ পটুয়াখালী–কুয়াকাটা মহাসড়কের দুই পাশ দীর্ঘদিন ধরে ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছিল। এর ফলে পথচারী ও যানবাহনের চালকদের দৃষ্টিসীমা বাধাগ্রস্ত হয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটত। দুর্ঘটনা রোধ ও সড়কটিকে চলাচল উপযোগী রাখতে তরুণ সমাজ নিজেরাই ঝাঁপিয়ে পড়ে পরিষ্কার অভিযানে।
উদ্যোক্তা এবং আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ. এম. কাওসার মাদবর বলেন, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের দুই পাশে ঝোপঝাড়ে সয়লাব হয়ে ছিল। এতে মানুষ চলাচল করতে পারতেন না এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল সবসময়। সেই ঝুঁকি কমাতে আমরা শতাধিক তরুণ মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। শুক্রবার ৫ কিলোমিটার সড়ক পরিষ্কার করেছি; ধীরে ধীরে পুরো পথ পরিষ্কার করা হবে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, তরুণদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে একদিকে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বড় ভূমিকা রাখবে।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্যাহ বলেন, যে কাজটি মূলত সড়ক ও জনপথ বিভাগের করার কথা, সেটি তরুণরা স্বেচ্ছাশ্রমে করেছেন—এটি নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ক। এমন উদ্যোগ দুর্ঘটনা কমাবে এবং সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। তরুণরা যদি এমনভাবে দেশ গঠনে এগিয়ে আসে, তবে দেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে।
স্থানীয় জনগণ তরুণদের এই দায়িত্বশীল ও মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এই উদ্যোগ কেবল সড়ক পরিষ্কার নয়, বরং সমাজে সচেতনতা ও একতার সুন্দর দৃষ্টান্ত।
আয়শা/২৪ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ৯:৫০






