
ডেস্ক নিউজ : মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। আটকের পরে পরকীয়ায় লিপ্ত ওই নারী তালাক দিয়েছেন তার স্বামীকে। পরে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তার কাবিন হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারি গ্রামের বসুনিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ওই পুলিশ সদস্যের নাম ইমরুল কায়েস এবং তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাটলক্ষীপুরের বালাহাটা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটক ইমরুল কায়েস বৃহস্পতিবার রাতে আসেন প্রবাসীর বাড়িতে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয়রা আটক করেন ইমরুল কায়েস ও প্রবাসীর স্ত্রীকে। পরে একই রশিতে বাঁধা হয় দুইজনের হাত। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সকাল থেকে বাড়তে থাকে লোকসমাগম। পরে বেলা ১১টার দিকে কাজীর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেন ওই গৃহবধূ। এরপর পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ের কাবিন সম্পন্নের পর একটি অটোরিকশাযোগে চলে যান তারা।
এর আগে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত ইমরুল কায়েস বলেন, ওই নারী তার ফুফাতো বোন। তার সঙ্গে প্রেমের কোনো সম্পর্ক নেই। রংপুর থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বোনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি। পরে আটক করে মারধর করা হয় তাকে। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে ওই গৃহবধূ বলেন, রাত ১১টার দিকে এসেছিলেন কায়েস। সম্পর্কে আমরা ভাই-বোন। কিন্তু আমার এ কথা কেউ বিশ্বাস করে না? আর সবাই তাকে আটক করায় বাড়িও যেতে পারেননি তিনি।
এদিকে আনারুল নামের এক স্থানীয় বলেন, ১০টার দিকে এসেছিলেন ইমরুল কায়েস। এসে খাওয়া-দাওয়া করে। কাপড়-চোপড় পাল্টায়। পরে রাত ১টার দিকে আটক করা হয় তাদের। সুমন নামের এক স্থানীয় বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এরপর বিয়ে করে চলে গেছেন তারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য দিতে রাজি হননি দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মো. আতোয়ার রহমান। পরে বিকালে মোবাইল ফোনে কল দিলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান তিনি। ঘটনাস্থলে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে জানালে- ওই নারী তার স্বামীকে তালাক দিয়েছেন এবং আটক ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মো. আতোয়ার রহমান।
আয়শা/২৪ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ১০:৩৩





