ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

‘বুকে বল রাখেন, মনোবল হারাবেন না’— ইনুকে দীপু মনি

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ - ০৭:৩৮:২৮ পিএম

ডেস্ক নিউজ : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু মামলার অন্য আসামিদের বললেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত আর দেখা হবে না। আমার মামলা ট্রাইব্যুনাল-২ এ নিয়ে গেছে।’ ইনুর এমন কথায় সাহস জোগালেন সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বললেন, ‘চিন্তা করবেন না ভাই। আল্লাহ ভরসা। বুকে বল রাখেন, মনোবল হারাবেন না।’

দুজনের কথার মধ্যে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলে ওঠেন ‘এভাবে ওঠানো-নামানোর নাটক কবে শেষ হবে এদের।’বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর এজলাসে এমন দৃশ্য দেখা যায়। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে সেদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় আনা হয় তাদের। বেলা সোয়া ১১টার দিকে একে একে সবাইকে আদালতের এজলাসকক্ষে নেওয়া হয়। সামনে চেয়ারে বসেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তার পাশে আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। মাঝের সারিতে বসেন ডা. দীপু মনি, আর তার ঠিক পেছনে বসেন ইনু। তার পাশে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

মামলার নতুন তারিখ নির্ধারণের পর দুপুরে তাদের আবার হাজতখানায় ফেরত নেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থাকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও দুই মাস সময় দেয় এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে ৮ ডিসেম্বর।

এদিন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

এর আগে, ২০ জুলাই মামলার তদন্তে আরও সময় চেয়ে আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর। আদালত সে সময় তিন মাস সময় মঞ্জুর করে আজকের তারিখ নির্ধারণ করেছিল। তবে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় আবারও সময় বাড়িয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে সকালে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন এবং প্রবেশের সময় প্রত্যেককে তল্লাশি করে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়।

 

 

আয়শা/১৫ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৩৪

▎সর্বশেষ

ad