গুরুতর অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা

Ayesha Siddika | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৫ - ০৪:৪৩:২৯ পিএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ফিক্সিংয়ের অভিযোগে বিপাকে পড়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা লুকাস পাকেতা। বেটিং মার্কেটে প্রভাব ফেলতে চারটি ম্যাচে ইচ্ছে করে হলুদ কার্ড দেখেছেন, এমন অভিযোগ ওঠার পর ফুটবল ক্যারিয়ারই হুমকির মুখে পড়ে যায় তার। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফুটবল থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হতো তাকে। তবে পাকেতার জন্য স্বস্তির খবর, অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে বিষয়টি জানিয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) ও তার ক্লাব ওয়েস্ট হ্যাম। প্রায় দুই বছরের তদন্ত শেষে পাকেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে জানিয়েছে এফএ-র গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশন।

২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত মোট চারটি ম্যাচে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্ড দেখার অভিযোগ আনা হয় পাকেতার বিরুদ্ধে। ম্যাচগুলো ছিল- ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর লেস্টার সিটি, ২০২৩ সালের ১২ মার্চ অ্যাস্টন ভিলা, ২১ মে লিডস ইউনাইটেড ও ১২ আগস্ট বোর্নমাউথের বিপক্ষে ওয়েস্ট হামের ম্যাচ। ২০২৩ সালের আগস্টে পাকেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এফএ। এরপর ২০২৪ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে কমিশন জানিয়েছে, পাকেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

রায়ের পর এক বিবৃতিতে পাকেতা বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলেছি, আমি নির্দোষ। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না। তবে এটুকু বলতে চাই, সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দুই বছর পর হাসিমুখে মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছি।’এদিকে পাকেতার বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা ও অভিযোগ অস্বীকার করায় আরও দুটি অভিযোগ আনা হয়। ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিশন। এই অপরাধে কী শাস্তি হবে, তা পরে জানানো হবে।

 

 

আয়শা/১ আগস্ট ২০২৫/বিকাল ৪:৪০

▎সর্বশেষ

ad