
ডেস্ক নিউজ : আবদুল্লাহ বিন আলমগীর
لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰہِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰہَ وَالۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَذَکَرَ اللّٰہَ کَثِیۡرًا বস্তুত রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ এমন ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহ ও আখেরাত দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে। (সুরা আহ্জাব – ২১)
অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে, وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٍ (হে নবী) নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী। (সুরা কলম, আয়াত: ৪) আম্মাজান হজরত আয়েশা রা.-কে মহানবীর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
خلقه القرآن অর্থাৎ কোরআনই হলো রাসূলের চরিত্র।(আদাবুল মুফরাদ, হাদিস: ৩০৮) কোরআনের প্রতিটি বিধান পরিপূর্ণভাবে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা তাঁর স্বভাবে পরিণত হয়েছিল। এতে তিনি কোনো ধরনের কষ্ট-ক্লেশ ও চাপ অনুভব করতেন না। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উত্তম চরিত্রের অনেক দৃষ্টান্ত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।
এক. হজরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ)বলেন,ما رئي رسولُ اللهِ ﷺ مقدّمًا رُكبته بينَ جليس لَه قطُّ ولا صافح رجلًا فنزع يده من يده حتّى يَكونَ الرَّجلُ هُوَ الَّذي ينزِعُها রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো সামনে উপবিষ্ট লোকদের দিকে পা দুটো প্রসারিত করে বসতেন না। যে ব্যক্তি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে মুসাফাহা করত, ঐ ব্যক্তি স্বীয় হাত টেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি নিজের হাত টেনে নিতেন না। (তবক্বাতে কুবরা, হাদিস: ৮৮৯)
শিক্ষার্থী : জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ ঢাকা।
কিউটিভি/আয়শা//৩০ জুন ২০২৫, /বিকাল ৩:৫৫