এবার আলোচনায় নিউইয়র্কের মেয়রপ্রার্থী জোহরানের স্ত্রী রামা

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ - ০৬:৪৯:৪৫ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউইয়র্কের আসন্ন মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অ্যাসেম্বলিম্যান জেহরান মামদানিকে মনোনীত করায় বিশ্বজুড়ে চলছে জোহরান-চর্চা। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় এসেছেন তার স্ত্রী রামা দুয়াজি।

শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়—‘রামা দুয়াজি: কে এই নিউইয়র্ক মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানির স্ত্রী?’

এতে বলা হয়, স্বামী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ায় তার স্ত্রী ২৭ বছর বয়সী চিত্রশিল্পী ও অ্যানিমেটর রামা দুয়াজির ওপরও পড়ছে প্রদীপের আলো।

নিউইয়র্কের এই চিত্রশিল্পীর আদি বাসস্থান সিরিয়ায়। তার শিল্পকর্মে মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়বস্তু উঠে আসে। তার কাজ নিয়ে বিবিসি নিউজে প্রতিবেদন হয়েছে। এছাড়াও, তাকে নিয়ে প্রতিবেদন হয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও ভাইসে।

গত ১২ মে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে জোহরান মামদানি লিখেছিলেন, ‘রামা শুধু আমার স্ত্রী নন, তিনি চমৎকার চিত্রশিল্পী। তিনি নিজেই নিজের পরিচয়ে পরিচিত।’ তিনি জানান, এর তিন মাস আগে তারা বিয়ে করেছেন। সেই পোস্টের মন্তব্যে রামা দুয়াজি লেখেন— ‘ও মাই গড, শি ইজ রিয়েল।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরে নির্বাচনি প্রচারণায় জোহরানের পাশে রামা দুয়াজিকে খুব একটা দেখা যায়নি। বিরোধীদের অনেকে দাবি করেন, ৩৩ বছর বয়সী জোহরান তার স্ত্রীকে ‘লুকিয়ে’ রাখছেন। নির্বাচনি প্রচারণায় রামা দুয়াজির অনুপস্থিতি অনেকের নজরে এসেছে। সাধারণত প্রার্থীরা তাদের সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীদের নির্বাচনি প্রচারণার সময় সঙ্গে রাখেন। ভোটারদের বোঝাতে চান যে তারা পারিবারিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

তরুণ জোহরান নিজেকে ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট বলে দাবি করেন। গত ২৪ জুন তিনি তার প্রধান দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে নিজেকে নতুন উচ্চতায় তুলে আনেন।

মে মাসের সেই পোস্টে জোহরান নির্বাচনি প্রচারণায় স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দেন। তাদের বিয়ের অনেকগুলো ছবি প্রকাশ করেন। তারা নিউইয়র্ক সিটি ক্লার্ক কার্যালয়ে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তিনি নোংরা রাজনীতির শিকার বলেও মন্তব্য করেন।

জোহরান বলেন, ‘আমি সাধারণত এসব উড়িয়ে দিই। হোক না তা মৃত্যু হুমকি বা আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি। তবে যখন প্রিয়জনকে নিয়ে কথা হয় তখন আর চুপ করে থাকা যায় না। আপনি আমার মতাদর্শের সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু, আমার পরিবারকে নিয়ে নয়।’

২০২২ সালে তার কাজ বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের তথ্যচিত্র ‘হু কিল্ড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ দেখানো হয়। এই তথ্যচিত্রে ১৯৭৪ সালে এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের হত্যার ঘটনার তদন্ত তুলে ধরা হয়।

ইনস্টাগ্রামে তার কয়েকটি শিল্পকর্মে ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ’র সমালোচনা করা হয়। 

 

 

কিউটিভি/আয়শা//২৯ জুন ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:৪৪

▎সর্বশেষ

ad