
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতিসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা করবেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু।গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনকে একচেটিয়া সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসনের শেষ সময়ে উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। বাইডেন ও ট্রাম্প উভয়ই এর কৃতিত্ব দাবি করেছেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পেছনে যে নেতারই অবদান থাকুক না কেন, ওয়াশিংটনের আসল স্বার্থ শুরু থেকে তেল আবিবের সঙ্গেই ছিল। প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি আদৌ গাজার দুর্ভোগ কমাবে নাকি আড়ালে আরও বড় পরিকল্পনার ফাঁদ তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল জোট, তা নিয়ে ভয়ে দিন কাটছে গাজাবাসীর।
ফিলিস্তিনিদের এ সন্দেহের মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউসে ফেরার পর বিদেশি নেতা হিসেবে নেতানিয়াহুর সঙ্গেই প্রথম বৈঠক করবেন ট্রাম্প।
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, গাজার জনগণকে মিশর ও জর্ডানে পাঠিয়ে দেয়ার পরামর্শে এখনও অবিচল আছেন ট্রাম্প। এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি গাজাবাসীকে যুদ্ধ-বিগ্রহ মুক্ত অঞ্চলে পাঠাতে চান। আরেক গণমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, গাজা ‘খালি’ করার পরামর্শে রাজি হতে মিশর ও জর্ডানের ওপর চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প।
মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ট্রাম্পের সঙ্গে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে। সিসিকে বন্ধু সম্বোধন করে এত বছরের মার্কিন সহায়তার প্রতিদান দেয়ার অনুরোধ করেন ট্রাম্প। যদিও এ খবরকে গুজব বলে মন্তব্য করেছে মিশর কর্তৃপক্ষ।
দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বিশ্লেষকরা জানান, নিজ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কায়রোর বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ট্রাম্প। ১৯৪৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মিশরের সামরিক খাতে তিন হাজার কোটির বেশি ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিউটিভি/আয়শা/২৯ জানুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৫:৫৪