আটোয়ারী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান এর অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ০৬:২৫:৩৫ পিএম
আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার আশুলিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ করায় পুলিশের সামনেই যুবদলের একটি শাখা অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের মুজার মিল এলাকায় এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধামসোনা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহর আলী খাঁন ও ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক নামে দুইজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, জানা যায়, ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে এক আলোচনা সভায় ধামসোনা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মহর আলী মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য শোনার পরে মাদক কারবারিরা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন। পরে ১৭ই সেপ্টেম্বর হামলার আগে মুজারমিল এলাকায় যুবদলের অফিসে ঢাকা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মন্ডল ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মজিবুর রহমানের সাথে কথা বলছিলেন।
ওইদিন ১১টার দিকে মহর আলী ওই যুবদলের অফিসে যান। এসময়ে তাহের, আলিম, জহির, মোশাররফ ও  তন্ময়ের নেতৃত্বে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা যুবদলের অফিসে ঢুকে পুলিশের সামনেই মোহর আলী ও তার সঙ্গীয় শফিক সহ কয়েকজনকে মারধর করে এবং অফিসে থাকা চেয়ার-টেবিল সহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ঘটনার সময় পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন। এরমধ্যে একজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে জাহাঙ্গীর ও তার সঙ্গীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। পরে কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নেন।
এবিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। আপনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকাকালীণ সময়ে যুবদলের অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে এমন প্রশ্নের জবাবে আশুলিয়া থানার এসআই মুজিবুর রহমান বলেন, ঘটনা সত্য এবং আমি থামানোর চেষ্টা করেছি, তারা আমার কথা শুনেনি। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
আহত মহর আলী খান অভিযোগ করে বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে যুবদলের অফিসে যাই এবং সেখানে বসে যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর মন্ডলের সাথে কথা বলছিলাম। একসময় এক পুলিশের কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। এসময় হঠাৎ মোশারফ হোসেন, তাহের দেওয়ান, তন্ময় আলিম ও জহিরের নের্তৃত্বে ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় পুরো অফিসে ভাংচুর করে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে আমি ও শফিকুল ইসলাম সহ কয়েকজন আহত হয়।
পরে আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি ইউনিয়ন পরিষদে মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিলাম বিধায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও এই ভুক্তভোগীর অভিযোগ। আশুলিয়া থানার ওসি আব্দুল হান্নান জানান, বিএনপি অফিসে হামলার ঘটনা শুনে সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

 

আয়শা/১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:২১

▎সর্বশেষ

ad