
স্পোর্টস ডেস্ক : গতকাল শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথ্যম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। দীর্ঘ ১৭ বছর পর এবারের আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে রোহিত শর্মার দল। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে দীর্ঘ ১১ বছরের শিরোপাখরা কাটিয়েছে তারা। এর আগে সবশেষ ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শিরোপা জিতেছিল।
এবারের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ২০টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। দল সংখ্যায় এটিই আইসিসির সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ। আর্থিক দিক বিচারেও বৃহত্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এটিই। এবারের আসরেই সবচেয়ে বেশি অর্থ প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছে দলগুলো। সব মিলিয়ে ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৩২ কোটি টাকার প্রাইজমানি ছিল এবারের আসরে। যেখানে যেখানে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ভারত প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছে ২.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকারও বেশি। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য এটাই সর্বোচ্চ প্রাইজমানি।
এই প্রাইজমানির বাইরে ম্যাচ জেতার জন্যও ছিল বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার। এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাচ্ছে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভারত আট ম্যাচ জেতা বাবদ ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৮ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকারও বেশি পেয়েছে। সে হিসেবে বিশ্বকাপে ভারতের আয় ৩১ কোটি টাকারও বেশি। রানার্স আপ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছে কমপক্ষে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ কোটি ২ লাখ টাকা। সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়া দুই দল ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের প্রত্যেকে পেয়েছে প্রায় ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা করে।
বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছে সুপার এইট থেকে ছিটকে পড়া দলগুলোও। টুর্নামেন্টের সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়া দলগুলোর জন্য ন্যুনতম প্রাইজমানি ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৪৯ লাখ ২৬ হাজার টাকারও বেশি। বাংলাদেশসহ বাদ পড়া দলগুলো এই অর্থ পেয়েছে। এর বাইরে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জেতায় আরও ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৩ পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬২ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকারও বেশি।
কিউটিভি/আয়শা/৩০ জুন ২০২৪,/রাত ৮:৩০