পোশাক খাতের রফতানিতে হিমশিম খাওয়ার অবস্থা, দাবি শিল্প মালিকদের

Ayesha Siddika | আপডেট: ০১ জুন ২০২৪ - ০৩:৫৬:৫৫ পিএম

ডেস্ক নিউজ : বৈদেশিক মুদ্রা সংকট কাটিয়ে দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধির যে কয়টি উপায় রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার রফতানি আয়। আর বছরের পর বছর এই রফতানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি যোগান দিচ্ছে তৈরি পোশাক খাত।

জ্বালানি ও ডলার সংকট, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উন্নত দেশগুলোর ব্যয় সংকোচন নীতি, ব্যাংক ঋণের লাগামহীন সুদহার বৃদ্ধি ও কর আদায়ের নামে এনবিআরের বৈরি আচরণে হিমশিম খাচ্ছে এই খাত। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে অসহায়ের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে সেই চিত্রও তুলে ধরেছেন পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা।

চলতি বছরের ১৩ মে এক বক্তব্যে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) জানিয়েছিলেন, এনবিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব আইন ঠিক হয়ে যায়। তখন আর কোনো কাজে বাধা থাকে না। শুধু যোগাযোগ করা না হলেই, হয়রানির শিকার হতে হয়।
 
এ অবস্থায়, চীন-ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ক্রমবর্ধমান চাপে পড়া খাতটির উৎসে কর কমাতে আগামী বাজেটে সরকারকে পাশে চান উদ্যোক্তারা। বিজিএমইএর সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, রফতানির ওপর ১ শতাংশ কর দেয়া মানে লাভের ২০ শতাংশই সরকারকে দেয়া। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু রফতানিতে লাভ একেবারেই থাকে না। তাই এই কর আরোপ শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা দরকার।

অন্যদিকে দাতা সংস্থা থেকে ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানোর চেয়ে পোশাক শিল্পে কর সুবিধা দিয়ে রফতানি আয় বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, এরইমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ করার জন্য অনেক পরিমাণ ঋণ নেয়া হয়েছে। তাই স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার আগ পর্যন্ত পোশাক খাতের সুযোগ-সুবিধা দেয়া যেতেই পারে। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের উৎসে কর দ্বিগুন বাড়িয়ে ১ শতাংশ করে সরকার। যা বহাল রয়েছে চলতি অর্থবছরেও।

 

কিউটিভি/আয়শা/০১ জুন ২০২৪,/বিকাল ৩:৫০

▎সর্বশেষ

ad