
ডেস্ক নিউজ : হরতাল ও অবরোধের নামে চলমান নাশকতার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যেন পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে নিতে না পারে এবং পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল/জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে নাশকতা করতে না পারে সেই লক্ষ্যে ১০ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরমধ্যে বাসা-বাড়ি ও কল-কারখানার জেনারেটরের জন্য জ্বালানি সংগ্রহে থানার ওসির ছাড়পত্র নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিমোক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। এরমধ্যে নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), অফিসার ইনচার্জ, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে ওই সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন।
রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া। লুজ/খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা, তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরি/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮ এর লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।
কিউটিভি/আয়শা/১১ নভেম্বর ২০২৩,/রাত ৯:০৫