ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ গাজী মাজহারুল আনোয়ার : তুমি সুতোয় বেধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হলো ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে যমুনায় ৮ দলের প্রতিনিধি, আশপাশ এলাকায় নেতাকর্মীরা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায়

নেত্রকোনা – ১ আসনে প্রার্থীতা বাতিল ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ - ০৪:২৯:৩৩ পিএম

তোবারক হোসেন খোকন দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এখানে দলটির নমিনি হিসেবে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি গোলাম রব্বানীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হওয়া সাবেক এই নেতাকে, রিকশা প্রতীকে মনোনীত করায় তার প্রার্থীতা বাতিল ও তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, দলবদলের রাজনীতির জন্য বেশ আলোচিত-সমালোচিত গোলাম রব্বানী। তিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাপার পর চতুর্থবারের মতো দলবদল করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে যোগ দেন। এ কারণে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ভূমি দখলের অভিযোগও রয়েছে। আমরা নেত্রকোনা – ১ আসনে তাকে মনোনয়ন দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি, এমন বিতর্কিত নেতার প্রার্থীতা বাতিল করার জন্য। সেইসাথে ফ্যাসিস্ট এর দোসর গোলাম রব্বানীকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্যও প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

বক্তারা আরো বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন রব্বানী। ১৯৮৬ সালে তিনি কলমাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈরাচারী এরশাদের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ভোট কেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৬ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে তিনি বিএনপির মনোনয়ন পান। তবে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় তার রাজনৈতিক অবস্থানও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ পরিচয় ব্যবহার করে কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বলেও জানা গেছে।

পরবর্তিতে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন চান। কিন্তু দল মনোনয়ন না দিলে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে ফিরে যান। পরবর্তিতে ২০২৪ সালে সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান। এ সময় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির নেতা, রিফাত আহমেদ, রাজু, দুর্জয়, তামিম হাসান, রাকিব মিয়া, ইফতি, হৃদয় এবং জারিফ।

 

আয়শা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৪:২২

▎সর্বশেষ

ad