ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ গাজী মাজহারুল আনোয়ার : তুমি সুতোয় বেধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হলো ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে যমুনায় ৮ দলের প্রতিনিধি, আশপাশ এলাকায় নেতাকর্মীরা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায়

এবার রোবট চাইলে খেয়েও ফেলতে পারবেন

Anima Rakhi | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ - ০৪:০২:২৬ পিএম

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : ‍রোবট খাওয়া যায়, এ ধারণা এত দিন ছিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনির মতো। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের গবেষকেরা এবার তা বাস্তবে দেখালেন। তৈরি করেছেন বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ ভক্ষণযোগ্য কোমল রোবট, যার দেহ, নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এমনকি ব্যাটারিও খেয়ে ফেলা যায়। আর মজার ব্যাপার হলো—রোবটটি পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ফ্লেভারেও।

বাহ্যিকভাবে রোবটটিকে দেখতে অনেকটা জেলি বা ‘জেলো’ দিয়ে বানানো টেট্রিস ব্লকের মতো। যেখানে সাধারণ রোবট ধাতু ও প্লাস্টিকের যন্ত্রাংশে নির্ভর করে, সেখানে এই রোবটের দেহ তৈরির উপাদান হলো মোম, জিলেটিন আর অন্যান্য ভোজ্য উপকরণ। নড়াচড়ার জন্য ব্যবহৃত টিউব ও চেম্বারও একইভাবে ভক্ষণযোগ্য।

গ্যাসচালিত এই রোবটের ভেতরে রয়েছে বিশেষ ধরনের ব্যাটারি। সিলিন্ডার আকৃতির ওই ব্যাটারিতে আলাদা চেম্বারে রাখা আছে বেকিং সোডা এবং তরল সাইট্রিক অ্যাসিড। মাঝখানে রয়েছে পাতলা একটি ভোজ্য মেমব্রেন। চাপ পড়লেই মেমব্রেন ভেঙে দুই উপাদান মিশে যায়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়, আর সেই গ্যাসই রোবটকে চালনা করার শক্তি জোগায়। ঠিক ছোটবেলার বিজ্ঞানের ক্লাসে দেখা সহজ গ্যাস প্রতিক্রিয়ার মতো—কিন্তু এবার সেটি একটি পূর্ণাঙ্গ রোবটে ব্যবহৃত হয়েছে।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই রোবট মানুষের জন্য নয়, প্রথমে লক্ষ্য ছিল বন্যপ্রাণীদের কাছে নিরাপদে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া। বিশেষ করে বুনো শুয়োরের মতো দূরে থাকা প্রাণীর শরীরে এভাবে ওষুধ প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। রোবটটি খেয়ে ফেললেও শরীরে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

তবে এরই মধ্যে মানুষের ওপরও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ফলের স্বাদের অ্যাকচুয়েটর ব্যবহার করে রোবটের ভোজ্য অংশগুলো বিভিন্ন ফ্লেভারে তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যবস্থাপক দারিও ফ্লোরিয়ানো বলেন, “এই উদ্ভাবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো এর সম্পূর্ণ ভোজ্য ব্যাটারি এবং ভালভ সিস্টেম। এটি ভবিষ্যতে ওষুধ প্রয়োগ ও খাদ্য প্রযুক্তিতে নতুন দিক দেখাবে।”

সূত্র: নোটবুক চেক

অনিমা/০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৩:৪৫

▎সর্বশেষ

ad