
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোববার সন্ধ্যায় সম্প্রচারিত সিবিএসের ৬০ মিনিটস সাক্ষাৎকারে কুশনার বলেন, ‘আমরা এখন ইসরাইলি নেতৃত্বের কাছে সবচেয়ে বড় যে বার্তাটি পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি তা হল, এখন যেহেতু যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে, যদি আপনি ইসরাইলকে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যের সাথে একীভূত করতে চান, তাহলে আপনাকে ফিলিস্তিনি জনগণের উন্নতির কথা ভাবতে হবে এবং আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
কুশনার বলেন, তিনি এবং উইটকফ ইসরাইলের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দেয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছেন। ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কুশনারের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য যৌথ নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির দিকে মনোনিবেশ করছে যাতে তারা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে পাশাপাশি বসবাস করতে পারে।
‘আমরা ফিলিস্তিনিদের নিজেদেরই এটি নির্ধারণ করার সুযোগ দেব।’ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথ সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে কুশনার বলেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শুরু হওয়ার পর থেকে সিবিএসের সাথে এই আলোচনাটি ছিল কুশনার এবং উইটকফের প্রথম কোনো বড় সাক্ষাৎকার। তাদের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয় যা ব্যাপকভাবে গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং উপত্যকায় আটক সকল জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেয়।
এদিকে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার পর সোমবার পর্যন্ত, হামাস এখনও ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ ফেরত দেয়নি। এর আগে হামাস জানিয়েছিল, তাদের নিহত জিম্মিদের মৃতদেহগুলো খুঁজে পেতে সময় লাগবে বলে ফেরত পাঠাতে দেরি হতে পারে। এ বিষয়ে কুশনারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, হ্যা, মরদেহগুলো খুঁজে পেতে দেরি হচ্ছে বলে তারা পাঠাতে পারছে না। এই সাক্ষাৎকারটি ঠিক কখন ধারণ করা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়, তবে এটি রোববারের ঘটনার কয়েকদিন আগে বলে ধারণা।
সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরাইল
আয়শা/২০ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৫:০৫