ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

বেড়েছে ডিমের দাম, সবজির বাজারের কী হালচাল?

Ayesha Siddika | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ - ০৬:৫৮:১২ পিএম

ডেস্ক নিউজ : শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, কিছু সবজির দাম সামান্য কমলেও বেশিরভাগই এখনও হাতের নাগালের বাইরে। সবজি কিনতে আসা গৃহিণী রুবিনা আক্তার বলেন, ‘এত দাম দিয়ে প্রতিদিনের বাজার করা সম্ভব না। একটু কম দাম হলে ভালো হতো।’

বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০-৭০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মূলা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, আলু ২০ টাকা ও শসা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কমছে না বলে দাবি বিক্রেতাদের। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহবুদ্দিন বলেন, ‘লাগাতার বৃষ্টির কারণে মাঠে অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। ফলে পাইকারিতে দাম বেড়েছে, আমরাও বেশি দামে কিনে আনছি। তাই খুচরা বাজারে খুব একটা দাম কমানো যাচ্ছে না।’
 
কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে কেজি প্রতি ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির প্রভাবে গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছিল কাঁচা মরিচের দাম। তবে বৃষ্টি কমে আসায় দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।
 
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজারে নেই ইলিশ মাছ। তবে চাষের রুই ও কাতলার দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে টেংরা, পাবদাসহ ছোট মাছের দাম। বিক্রেতা হাফিজ মিয়া বলেন, ‘ ছোট মাছ কম ধরা পড়ছে। তাই সরবরাহ কমায় ছোট মাছের দাম কিছুটা বেশি।’
 
বাজারে প্রতিকেজি বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩০০-৪৫০ টাকা ও কাতল ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, চাষের ট্যাংরা ৭৫০-৮০০ টাকা, এবং পাবদা ও শিং ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজার। বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, আর সোনালি মুরগির জন্য গুনতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। তবে বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে এখন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। আর প্রতি ডজন সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকার মধ্যে।
 
বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, একসঙ্গে সব কিছুর দাম বেশি হওয়ায় মাসের খরচ মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমতে পারে আগামী সপ্তাহে।

 

 

আয়শা/১১ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৫৫

▎সর্বশেষ

ad