
জিম্মিদের মধ্যে একজনের বাবা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, পনের মিনিটের মধ্যেই তাদের ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের কাছে হস্তান্তর করবে এবং এরপর তারা ইসরায়েলে পৌঁছাবে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) জানিয়েছে, উভয় পক্ষের বন্দির মুক্তি তদারকি করার জন্য কাজ করছে তারা।
আইসিআরসি জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা জিম্মি বা বন্দি মুক্তির সময় কোনো ফুটেজ সরবরাহ করবে না। এই জিম্মিদের ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে রেডক্রস। এরপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে সাত জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে তারা হলেন- যমজ দুই ভাই গালি এবং জিভ বারম্যান, মাতান অ্যাংরেস্ট, অ্যালোন ওহেল, ওমরি মিরান, এইতান মোর ও গাই গিলবোয়া-দালাল।
এদিকে জিম্মি মুক্তির খবরে তেল আবিবের হোস্টেজেস স্কয়ারে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন হাজারো ইসরাইলি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্তির খবরে তারা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন, গান গাইছেন এবং কেউ কেউ ইসরাইলের পতাকা উড়াচ্ছেন।
গাজা যুদ্ধ নিয়ে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, হামাস ৪৮ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত আছে বলে মনে করা হয়।
এরা হলেন- অ্যারিয়েল কুনিও ও তার ভাই ডেভিড কুনিও। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর তারা অপহৃত হয়েছিলেন। পরিবারের কাছে পাঠানো সবশেষ বার্তায় তিনি বলেছেন, “আমরা একটা হরর মুভির মধ্যে আছি”।
এভিয়াটার ডেভিড, তাকে নোভা উৎসব থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। গালি ও জিভ বারম্যান- ২৮ বছর বয়সী দুই জমজ ভাই। তাদের কিবুৎয কেফার আজা থেকে অপহরণ করেছিল হামাস।
ওমরি মিরান, অপহৃত হয়েছিলেন যারা তাদের মধ্যে এখন বেঁচে থাকাদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বয়সী। তার বয়স ৪৮।
বাকী জিম্মিরা হলেন- মাতান আংরেস্ট (২২), মাতান জানগৌকার (২৫), নিমরদ কোহেন (২১), গাই গিলবোয়া ডালাল (২৪), ইয়োসেফ চাইম ওহানা (২৫), এলকানা বহবত (৩৬), আভিনাতান ওর (৩২), এইতান ওর (২৫), বার কুপারশটেইন (২৩), সেগেভ কালফন (২৭) ও রম ব্রাসলাভস্কি (২১)।