
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবেদন মতে, ট্রাম্প এক ঘোষণায় বলেছেন, আগামী রোববার (১২ অক্টোবর) মিশরে গাজা চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এই নতুন চুক্তি পুরো অঞ্চলে ‘একটি চিরস্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠা করবে।
ট্রাম্প জানান, ইসরাইলি পার্লামেন্টের (নেসেট) স্পিকার আমির ওহানা তাকে ইসরাইলি আইনসভায় ভাষণ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
প্রায় দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। এর সপ্তাহ খানেক পর হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন তিনি।
ট্রাম্পের ওই ২০ দফা প্রস্তাব নিয়ে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) মিশরের পর্যটন শহর শারম আল–শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়। টানা তিনদিনের মাথায় বুধবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবের প্রথম ধাপ মানতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আরব ও পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা একে ট্রাম্পের অন্যতম বড় কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে বিবেচনা করছেন। অনেকেই বলছেন, এটি বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে পুনর্মিলনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
চুক্তি প্রণয়নে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা ও সাবেক উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তারা জেরুজালেমে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ইসরাইলি সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেন, যেখানে চুক্তিটি অনুমোদন পায়।
চুক্তির সফল সমাপ্তি ট্রাম্পের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। গাজা সংঘাত ও রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে সেই প্রচেষ্টা বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
এদিকে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠন এবং পুনর্গঠন সহায়তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য পশ্চিমা ও আরব দেশগুলি ইতোমধ্যেই প্যারিসে বৈঠক করেছে। সেখানে মানবিক সহায়তা ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
আয়শা/১০ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ৯:২২