
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্ববর্তী নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন কারাবন্দি ইরানি মানবাধিকার কর্মী নার্গেস মোহাম্মদী (২০২৩), দালাই লামা (১৯৮৯) এবং মার্টিন লুথার কিং (১৯৬৪)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে আগ্রহী।
হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন ‘সাতটি যুদ্ধ’ শেষ করার দাবি তুলে ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও, শান্তিতে তার অবদান আসলে কেমন তা নিয়ে তর্ক আছে। কারণ ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেছিলেন গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত করার এবং পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার হুমকি দিয়ে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক সাহায্য কমিয়ে দেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে নির্বাসন চালানোর মাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। তবে ট্রাম্পের আলোচনা বাদ দিলে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) অসলোতে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের জন্য ১০ জন প্রার্থীকে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে – যার মধ্যে মানবিক সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
আলোচনায় যেসব ব্যক্তি ও সংগঠন:
১. দ্য ইমারজেন্সি রেসপন্স রুমস (সুদানের একটি তৃণমূল-ভিত্তিক উদ্যোগ, যেখানে তরুণরা জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদান করে, বিশেষ করে যেখানে সরকারি বা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা পৌঁছায় না)।
২. ভলোদিমির জেলেনস্কি (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট)।
৩. রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স-আরএসএফ (তথ্যের স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক একটি অলাভজনক এবং বেসরকারি সংস্থা)।
৪. মাহরং বালুচ (পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী)
৫. আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)
৬. ইউলিয়া নাভালনায়া (রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী)
৭. চৌ হ্যাং-তুং (হংকং-ভিত্তিক আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী)
৮. স্ট্যান্ডিং টুগেদার (ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি শান্তি সংস্থা)
৯. শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি (কাতারের প্রধানমন্ত্রী)
১০. ন্যাটো (পশ্চিমা সামরিক জোট)
সূত্র: ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর
আয়শা/১০ অক্টোবর ২০২৫,/দুপুর ১:৪৪