ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

‎তিস্তার ভয়াল থাবা, পানিবন্দি লাখো মানুষের আর্তনাদ

Ayesha Siddika | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫ - ১২:১২:৫৯ এএম

‎জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, ‎লালমনিরহাট প্রতিনিধি : ‎গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে হাজারো পরিবারের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। নদী এলাকার মানুষ এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, রাত জেগে কাটছে তাদের নির্ঘুম সময়।

‎সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার)। রোববার রাতে পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভাটির লোকালয়ে ঢুকে পড়ে, প্লাবিত করে শত শত ঘরবাড়ি। তীব্র স্রোতের কারণে এখনো পানি দ্রুত গতিতে লোকালয়ের ভেতর প্রবেশ করছে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

‎এদিকে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার আদিতমারী, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, পাটগ্রাম ও সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে বুকসমান পানি উঠেছে। অনেকে গবাদি পশু ও প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে স্পার বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। ‎সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পানি প্রবেশে চরাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকার কাঁচা-পাকা সড়কগুলোর ওপর দিয়ে পানি বইছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। যেকোনো সময় সড়ক ও বাঁধ ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

‎মহিষখোচা গোবর্ধন এলাকার ইউপি সদস্য মতি মিয়া বলেন, “রাত থেকেই পানি রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে। এই সড়ক দিয়েই নদী এলাকার মানুষ চলাচল করে। এখন সব যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তা ভেঙে গেলে পুরো এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।”‎তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা সোবহান মিয়া বলেন, “গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই পানি ঢুকতে শুরু করে। রাতেই বাড়িতে বুকসমান পানি উঠে যায়। কোনো রকমে গরু-ছাগল নিয়ে উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি।”

‎লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তীরবর্তী এলাকার মানুষদের আগেই সতর্ক করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”‎প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

আয়শা/০৭ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ১২:০০


▎সর্বশেষ

ad