
ডেস্ক নিউজ : খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলার সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটনায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক এখন পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে রাঙামাটি শহরে এ পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। খাগড়াছড়ির সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় রাঙামাটির সাজেক বর্তমানে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া সাজেক যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। ফলে সাজেকে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি।
২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে এক পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অবরোধ কর্মসূচি কেন্দ্র করে একপর্যায়ে সেখানে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা এবং আন্দোলনকারীদের অবরোধের মুখে সাজেকে দুই হাজারের অধিক পর্যটক আটকা পড়েন।
এদিন রাতেই নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরায় তাদের খাগড়াছড়ি সদরে নিয়ে আসা হলে সাজেক পর্যটকশূন্য হয়ে যায়। তাছাড়া মঙ্গলবার পর্যন্ত সব রিসোর্ট-কটেজে অগ্রিম বুকিং থাকলেও সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে সব রিসোর্ট, কটেজ, হোটেল, রেস্তোরাঁ ফাঁকা বলে খবর পাওয়া গেছে।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ন দেব বর্মণ বলেন, বর্তমানে সাজেকে কোনো পর্যটক নেই। মঙ্গলবার পর্যন্ত যেসব অগ্রিম কক্ষ বুকিং ছিল সেগুলো সব বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত থাকা কিছু অগ্রিম বুকিং এখনো বাতিল করা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পর্যটকরা আসবেন বলে আশা করছি।
এদিকে রাঙামাটি শহরে পরিস্থিতির তেমনটা প্রভাব পড়েনি বলে মন্তব্য করে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের মোটেলে শতভাগ বুকিং বহাল আছে। পর্যটকদের আসা-যাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে।
আয়শা/৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ১১:২০