ইবিতে ৩০ ‘ফ্যাসিস্ট’ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে শোকজ

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৫ - ০৯:২৮:৪১ পিএম

ডেস্ক নিউজ : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৯ জন ‘ফ্যাসিস্ট’ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কারণ জানাতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পক্ষ নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে গঠিত তদন্ত কমিটি।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে বিরোধিতাকারীদের চিহ্নিত করতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১৯ জন শিক্ষককের নাম উঠে এসেছে। রোববার আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তালিকায় উল্লেখিত শিক্ষার্থীদের শোকজ করা হবে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি।

নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন ও অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিয়া রাসিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার ও অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল ও অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জয়শ্রী সেন, আল-ফিকহ অ্যান্ড ল’ বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম এবং ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান।

নোটিশে উল্লেখ রয়েছে- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ইবির ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি, ভীতি প্রদর্শন, মারমুখী আচরণ, গালাগালি, মিছিলে উসকানিমূলক স্লোগান প্রদান এবং পুলিশি গ্রেফতার ও হয়রানির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে লিপ্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে

প্রসঙ্গত, আন্দোলনের বিপক্ষে আগ্রাসী ভূমিকা নেওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে গত ১৬ মার্চ ৫ সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তবে সময় বৃদ্ধি করে ১৩ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। যেখানে ১৯ জন শিক্ষক, ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

 

আয়শা/১৮ আগস্ট ২০২৫/রাত ৯:২২

▎সর্বশেষ

ad