ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু কুড়িগ্রামে নবগঠিত জেলা বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল

বরিশালে স্থানীয় পশুতেই হবে কোরবানি, চাহিদা প্রায় ৪ লাখ

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৭ মে ২০২৫ - ০৬:০০:৪১ পিএম

ডেস্ক নিউজ : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বরিশাল বিভাগের খামারগুলোয় চলছে জোর প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। অনেকেই ইতোমধ্যে পশু বিক্রি শুরু করেছেন, আবার কেউ কেউ অপেক্ষা করছেন পশুর হাট বসার। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, এবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশুতেই বরিশাল বিভাগের কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে, কোনো সংকট তৈরি হবে না।

জানা গেছে, বরিশালের খামারগুলোয় বছরজুড়ে নানা জাতের গরু লালন পালন করা হয়। তবে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করেই বেশি দামে বিক্রির লক্ষ্য থাকে খামারিদের। সে লক্ষ্যে এখন খামারগুলোয় বিক্রয়যোগ্য পশুর বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। এসব পশুর মধ্যে রয়েছে দেশি গরু ছাড়াও সাহিওয়াল, দেশাল, আরসিসি, নেপালি, ফিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও পাকিস্তানি সাহিওয়াল জাতের গরু।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় জানিয়েছে, এ বছর বিভাগের ছয় জেলায় ছোট-বড় প্রায় ২৭ হাজার খামারিতে কোরবানিযোগ্য মোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। বিপরীতে এবারের কোরবানিতে বিভাগের চাহিদা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫২টি পশু। ফলে চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত থাকবে প্রায় ৬৫ হাজার ২৯৬টি পশু।

বিভাগজুড়ে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে রয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭টি গরু (ষাঁড়, বলদ ও গাভি), যার মধ্যে কেবল ষাঁড় গরুই রয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯৬১টি। এছাড়াও রয়েছে ৯ হাজার ৪০৬টি মহিষ, ১ লাখ ১২ হাজার ৪৬টি ছাগল এবং ১২ হাজার ২৭৪টি ভেড়া।

এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, বরিশাল অঞ্চলে খামারে একসাথে অনেক গরু পালন করা হয়, আবার অনেকেই বাড়িতে ছোট পরিসরে এক-দুটি গরু বা ছাগল পালন করেন। ফলে বাস্তবে হিসেবের তুলনায় আরও বেশি কোরবানিযোগ্য পশু থাকতে পারে। তবে এবারে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হবে না, যাতে বিদেশি গরুর প্রয়োজন হয়। শতভাগ স্থানীয় পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন আর কৃত্রিমভাবে হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে পশু মোটা তাজা করা হয় না। তারপরও প্রতিটি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা নিয়মিত খামারে তদারকি করছেন যাতে কেউ অনৈতিক পদ্ধতির আশ্রয় না নেয়। সেই সঙ্গে পশুর হাটগুলোয় ভেটেরিনারি চিকিৎসকসহ মনিটরিং টিমও কাজ করবে।

এদিকে খামারিরা জানিয়েছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু পালনে খরচ বেড়েছে, যার প্রভাব পড়বে কোরবানির বাজারে। তবে ভারতীয় গরু না এলে বাজারে স্থানীয় গরুরই প্রাধান্য থাকবে বলে তারা আশা করছেন। প্রসঙ্গত, এ বছর বরিশালের ছয় জেলায় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক কোরবানির পশুর হাট বসবে। হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় দেড় শতাধিক ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কোরবানিযোগ্য পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সেবা দেবে।

 

কিউটিভি/আয়শা/১৭ মে ২০২৫, /বিকাল ৫:৫০

▎সর্বশেষ

ad