
স্পোর্টস ডেস্ক : ফের আলোর মুখ দেখতে পারে আফ্রো-এশিয়া কাপ। এ বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন বতসোয়ানা ক্রিকেটের প্রধান সুমোদ দামোদার। এই প্রচেষ্টা সাফল্য লাভ করলে কোহলি, বুমরাহ, বাবর আজমদের সঙ্গে সাকিব আল হাসানদেরও দেখা যেতে পারে এশিয়া একাদশের জার্সিতে।
দামোদার ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা আফ্রো-এশিয়া কাপ পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করছি। জয় পাশে আছেন, মাহিন্দা ভিল্লাপুরাম (মালয়েশিয়া ক্রিকেটের প্রধান ও আইসিসি পরিচালক) কার্যকরভাবে এই আলোচনায় আছেন।’
দিন কয়েক আগে আইসিসির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিসিসিআইইয়ের সচিব জয় শাহ। ফলে তাকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসিস) দায়িত্ব ছাড়তে হচ্ছে তাকে। এসিসির নতুন প্রধান হওয়ার সম্ভাবনা আছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মহসিন নাকভির। সে কারণে এশিয়া ও আফ্রিকার মহাদেশীয় দলের লড়াইয়ের সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে। মূলত জয় শাহর ইচ্ছাতেই আফ্রো-এশিয়া কাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা জেগেছে। তিনি আইসিসির সভাপতি হওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরও ডালপালা মেলছে।
২০০৭ সালে আফ্রো-এশিয়া কাপ শেষবার অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বলতে গেলে নিয়মিতই এই খেলা অনুষ্ঠিত হতো। এই খেলা আয়োজনে ভালো ভূমিকা রেখেছিলেন আইসিসির অন্যতম কর্মকর্তা দামোদার। বর্তমানে তিনি সহযোগী সদস্য দেশগুলোর সিইসি হতে নির্বাচনে লড়ছেন। নির্বাচিত হলে ফের আফ্রো-এশিয়া কাপ ফিরিয়ে আনতে কাজ করবেন তিনি।
এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রধান প্রতিবন্ধকতা এফটিপিতে ফাঁকা জায়গা বের করা। এফটিপির ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছর বা অন্তত দুই বছরে একবার আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজন করা হতে পারে বলে জানান তিনি। দামোদার বলেন, ‘আমাদের এরকমই পরিকল্পনা। এখনো ঠিক হয়নি প্রতিবছর হবে না দ্বি-বার্ষিক হবে। এফটিপির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।’
আফ্রো-এশিয়া কাপের সবশেষ আসর অনুষ্ঠিত হইয় ২০০৭ সালে। সেবার মাহেলা জয়াবর্ধনের অধিনায়কত্বে এশিয়া একাদশের হয়ে খেলেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী, শহিদ আফ্রিদি, বীরেন্দর শেবাগ, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ আসিফ, মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই দলের হয়ে খেলেছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও। এর আগে ২০০৫ সালে এশিয়া একাদশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইনজামাম উল হক। সেই দলে ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা, বীরেন্দর শেবাগরা। সে সময় এশিয়া একাদশের হয়ে খেলেছিলেন ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।
অন্যদিকে আফ্রিকা একাদশের হয়ে খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়রা। এই ম্যাচগুলো পেয়েছিল আন্তর্জাতিক ম্যাচের মর্যাদা। ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ন এবং ডারবানে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৭ সালে ভেন্যু হিসেবে ছিল চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরু। তবে পরবর্তীতে নানা ব্যস্ততা ও ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে আর এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়নি।
তবে আফ্রো-এশিয়া কাপ ফের আলোর মুখ দেখতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সম্মতি জরুরি। সে ক্ষেত্রে ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পাড়ি দিতে হবে লম্বা পথ। আর তাতে বড় অবদান রাখতে হবে জয় শাহকেই।
কিউটিভি/আয়শা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:২১