ব্রেকিং নিউজ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার

গেম খেলে টাকা ইনকাম কি হালাল?

Ayesha Siddika | আপডেট: ০২ জানুয়ারী ২০২৪ - ০৩:৪৭:৪০ পিএম

ডেস্ক নিউজ : মূলত খেলা যদি কেবল সময়ের অপচয়ের মাধ্যম হয়, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দীন থেকে গাফেল হয়, তাতে জুয়ার মিশ্রণ থাকে এবং তাতে ইসলামের কোনো বিধান লঙ্ঘন হয়, তখন ওই খেলা হারামে পরিণত হয়। নবী‌জি ব‌লে‌ছেন لست من دد ولا الدد مني  আমি খেলাধুলা করিনি, খেলাধুলা আমার আদর্শ নয়।

ইসলামের আরেক দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, যে কোনো অনর্থক কাজকে বর্জন করা। হাদিসে আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্য হচ্ছে, যা কিছু অনর্থক তা বর্জন করা। (ইবনে হিব্বান ২২৯, জামে তিরমিজি ২৩১৮)
 
আর মোবাইল বা অনলাইনের ভিডিও গেমসগুলোও আক্ষরিক অর্থেই অর্থহীন কাজ। লক্ষ্য করলে দেখবেন, এগুলো আমাদের দুনিয়া-আখেরাতের কোনো উপকারেই আসে না। বরং বাস্তবতা তো হচ্ছে, এগুলো অর্থহীন হয়েই শেষ নয়। দুনিয়া-আখেরাতে আমাদের অসংখ্য ক্ষতিও টেনে আনছে। এসব খেলা মানুষকে আল্লাহর ইবাদত থেকে গাফেল করে দিচ্ছে।

আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, কতক মানুষ এমন, যারা অজ্ঞতাবশত আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিচ্যুত করার জন্য এমন সব কথা খরিদ করে, যা আল্লাহ সম্পর্কে উদাসীন করে দেয় এবং তারা আল্লাহর পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। তাদের জন্য আছে এমন শাস্তি, যা লাঞ্ছিত করে ছাড়বে। (সুরা লোকমান ৬) নিশ্চয় যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার হোক- কামনা করে, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (সুরা নুর ২৯)

গেমের মাধ্যমে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে কুফর-শিরকের প্রতি মুসলিম মানসে শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তাওহিদের ভিত্তিকে নড়বড়ে করে ফেলা হচ্ছে। ইহুদি-খ্রিস্টানদের এটাই লক্ষ্য। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ইহুদি খ্রিস্টানরা তোমার প্রতি কিছুতেই খুশি হবে না, যতক্ষণ না তুমি তাদের ধর্মের অনুসরণ করবে। (সুরা বাকারা ১২০)
 
তাই মোবাইল বা অনলাইনে এসব গেমস খেলা ও তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা নাজায়েজ। পাকিস্তানের বিখ্যাত ফতোয়া ওয়েবসাইট ‘জামিয়াতুল ইসলামিয়া.. বিন্নুরি টাউনে’ এসব গেমস খেলা এবং ইহার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে বলা হয়, মোবাইল বা অনলাইনে এ ধরনের গেমস খেলা আর তার মাধ্যমে উপার্জন করা নাজায়েজ। কারণ যে কোনো ধরনের খেলা বৈধ হওয়ার জন্য, তাতে নিম্নোল্লিখিত শর্তাবলি বিদ্যমান থাকা আবশ্যক। অন্যথায় সেই খেলাধুলা ‘লাহুঅল হাদিস’ তথা অসার ক্রিয়াকর্মের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে নাজায়েজ ও নিষিদ্ধ।
 
১. সেই খেলাধুলা মৌলিকভাবে বৈধ হতে হবে। তাতে নাজায়েজ কোনো বিষয় থাকতে পারবে না। যেমন প্রাণীর ছবি, অশ্লীল বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। ২. ওই খেলায় দীনি বা পার্থিব কোন উপকার থাকতে হবে। যেমন শরীর চর্চা ইত্যাদি। শুধু আনন্দ-ফুর্তি বা সময় কাটানোর জন্য খেলা উচিত নয়। ৩. সেই খেলাধুলায় শরিয়ত বহির্ভূত কোনো বিষয় বিদ্যমান থাকতে পারবে না। যেমন জুয়া, গান-বাজনা বা মিউজিক্যাল সাউন্ড অথবা নগ্নতা ও অশ্লীলতার ছড়াছড়ি ইত্যাদি।
 
৪. খেলায় এমনভাবে লিপ্ত হওয়া যাবে না, যার দরুন শরিয়া ফরজ বিধান আদায়ে গাফলত বা অলসতা চলে আসে। মোবাইল বা অনলাইনের এসব গেমস কেবল ‘লাহুঅল হাদিস’ তথা অসার ক্রিয়াকর্মের অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর তাতে প্রাণীর ছবি এবং অন্যান্য নাজায়েজ উপকরণ যা হারাম ও অবৈধ। তাই উপরোল্লিখিত কারণে এসব গেমস খেলা এবং তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা নাজায়েজ। (বিন্নুরি টাউনের ফাতাওয়া নম্বর ১৪৪১০৬২০০৩৪৬, দারুল উলুম দেওবন্দ ফতোয়া নম্বর

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০২ জানুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৩:৪৫

▎সর্বশেষ

ad