
ডেস্ক নিউজ : শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (কপ-২৮) এ কথা জানান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা।
তিনি বলেন,জলবায়ু সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোতে আরও সাড়া জাগাতে একটি নীতি সংশোধনের অংশ হিসেবে ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের অর্থায়নের জলবায়ু সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোতে বার্ষিক ব্যয় বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে। যা আগে ছিল ৩৫ শতাংশ।জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের বিস্তৃত পরিবর্তনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঙ্গা। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনভিত্তিক ব্যাংক এ সংক্রান্ত প্রকল্পে ৪০ বিলিয়ন খরচ করবে। যা আগের চেয়ে ৯ বিলিয়ন ডলার বেশি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনের ২৮তম আসরের উদ্বোধনী দিনে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ বা ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ৪২৪ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আয়োজক দেশ আরব আমিরাতসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নরওয়ে, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। গত বছর মিশরের শার্ম এল-শেখ-এ অনুষ্ঠিত কপ-২৭ শীর্ষ সম্মেলনে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ বা ক্ষতিপূরণ তহবিলের একটি চুক্তি সাক্ষর হয়। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেবছরই লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে।
তারই অংশ হিসেবে দুবাইতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনের ২৮তম আসরের উদ্বোধনী দিনেই তহবিলে আয়োজক দেশ আরব আমিরাতসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নরওয়ে, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান প্রায় ৪২৪ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আয়োজক দেশ আরব আমিরাত ও জার্মানি উভয়ই ১০০ মিলিয়ন ডলার করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৪৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে প্রতিশ্রুতি এসেছে ৫০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ও জাপান ১০ মিলিয়ন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৪২৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার তহবিল পাওয়ার আশা করছে জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
এই তহবিলটি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করবে যারা জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তবে কপ-২১ কিংবা ২০১৫ প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে প্রশমন ও অভিযোজনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করতে ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল উত্তোলনের একটি বিধান রাখা হয়েছিল। যা এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
কিউটিভি/আয়শা/০২ ডিসেম্বর ২০২৩,/রাত ৯:৩২