
ডেস্ক নিউজ : বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মার্কিন সরকারের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটিইএক্সএ) পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ব থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ২২ দশমিক ৮১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০২২ সালের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৭৮ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আর চলতি বছরের একই সময়ে মূল্যের দিক থেকে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি ৭ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হলেও চলতি বছর তা নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে।
এ ছাড়া পরিমাণের দিকে থেকে আমদানি ২৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক রফতানি হ্রাস দেশের জন্য উদ্বেগনক জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, চীন ও ভিয়েতনামের তুলনায় জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেশি হ্রাস পেয়েছে। এসময় কালে পরিমাণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীন ও ভিয়েতনাম থেকে পোশাক আমদানি কমিয়েছে যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ ও ২৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এদিকে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দাম বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক ক্রেতাদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার (এএএফএ)।
পোশাক শিল্প মালিকরা বলেন, মজুরি বাড়ানোর ফলে উৎপাদন ব্যয় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাংশ বেড়ে যাবে। এতে মুনাফার পরিমাণ কমবে। কারণ, মোট ব্যয়ের প্রায় ১০ থেকে ১৩ শতাংশই মজুরি খাতে। বিষয়টি উল্লেখ করে এই বাড়তি ৫ থেকে ৬ শতাংশ উৎপাদন ব্যয় বাংলাদেশের পোশাক কেনার ক্ষেত্রে দেয়া হবে কি না, জানতে চাইলে এএএফএর প্রধান নির্বাহী স্টিফেন লামার বলেন, ‘অবশ্যই।’
তিনি আরও বলেন, মজুরি বৃদ্ধিকে সমর্থন জানানোর জন্য এএএফএ দায়িত্বশীল ক্রয়পদ্ধতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিবছর ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার জন্য বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন তার জন্য বলা হয়েছে।
কিউটিভি/আয়শা/১০ নভেম্বর ২০২৩,/দুপুর ১২:০০