
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই বলেছেন, ‘বায়ুমণ্ডলে মেঘ বা আর্দ্রতা থাকলেই ক্লাউড সিডিং করার চেষ্টা করা যাবে।’
উড সিডিং হলো আবহাওয়া পরিবর্তনের একটি কৌশল। এর মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে মেঘের বৃষ্টি বা তুষার উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ানো যায়। গোপাল রাই এক বিবৃতিতে জানান, আইআইটির প্রস্তাবিত কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও জানান, দেশটির সরকার বৃহস্পতিবারের (৯ নভেম্বর) মধ্যে এই প্রস্তাবটি চেয়েছে। আর শুক্রবারের (১০ নভেম্বর) মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নেয়া হবে।
ইতোমধ্যেই আইআইটি কানপুরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য ক্লাউড সিডিং বিষয়ে বৈঠক করেছেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী। বৈঠকের পর ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রাই জানান, তারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের প্রস্তাব পাঠাতে বলেছে। এরপর এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
এদিকে ভয়াবহ বায়ুদূষণ থেকে রেহাই পেতে দিল্লিতে ১৩ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহ জোড়-বিজোড় নিয়মে গাড়ি চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিবছরই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে থাকে ভারতের দিল্লি। বিশেষ করে শীতকালে দিল্লির বায়ু অন্য সময়ের তুলনায় বেশি দূষিত থাকে। কারণ এ সময় শস্য তোলার পর মাঠের খড় জ্বালিয়ে দেন কৃষকরা। এছাড়াও বায়ুর নিম্ন গতি ও নানা উৎসব-পার্বণে আতশবাজি ফোটানোর কারণে দূষণের মাত্রা অন্য সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেড়ে যায়।
সাধারণত প্রতিবছর ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ থাকে। এসময় দিল্লির পার্শ্ববর্তী রাজ্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় খড় পোড়ানোর ঘটনা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি।
কিউটিভি/আয়শা/০৯ নভেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৩:৫৮