
ডেস্ক নিউজ : ডলার সংকটের মধ্যে চাপ বাড়াচ্ছে বিদেশি ঋণ ও সুদ পরিশোধ। এক বছরের ব্যবধানে শুধু সুদ পরিশোধই বেড়েছে তিনগুণ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ঋণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ফলে প্রভাব পড়ছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে। ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধির এ ধারা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। পর্যাপ্ত ঋণের অভাব দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিদেশি ঋণের অর্থছাড় যেমন কমেছে, তেমনি বাংলাদেশে বিদেশি ঋণ ও সুদের চাপ বেড়েছে অনেক। দেশে গত সেপ্টেম্বরের শেষে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে মাত্র ১২৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার। বিপরীতে ঋণ ও সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৮৭ কোটি ডলার বা ৯ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদই ছিল ৩৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, অথচ গত বছরের একই সময়ে সুদ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
ইআরডি হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ১২৮ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ডলার। অথচ গত বছরের একই সময়ে দেশে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছিল ১৩৪ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অর্থছাড় কমেছে ৫ শতাংশ। ঋণ ও সুদ পরিশোধের তথ্যে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশ সুদসহ আসল পরিশোধ করেছে ৮৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৯ হাজার ৫৩৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। অথচ গত বছরের একই সময়ে পরিশোধ করতে হয়েছিল ৫২ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার ডলার। এ ঋণ পরিশোধের চাপ এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।
শুধু ঋণের সুদের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পরিশোধ করা মোট ঋণের মধ্যে সুদই রয়েছে ৩৭ কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার, দেশি মুদ্রায় তা ৪ হাজার ১৪৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১৩ কোটি ৭০ লাখ ৩ হাজার ডলার, দেশি মুদ্রায় তা ১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বছরের ব্যবধানে শুধু সুদ পরিশোধের চাপই বেড়েছে তিনগুণ। বিদেশি ঋণের অর্থছাড় কমলেও ঋণের প্রতিশ্রুতি বেড়েছে অনেক। সেপ্টেম্বর শেষে বিদেশি ঋণদাতা সংস্থাগুলো ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২৮৮ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে ৪০ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ অক্টোবর ২০২৩,/রাত ৮:৫০