আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র-ইরান চুক্তির অংশ হিসেবে ইরানে বন্দী পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের কাতারের রাজধানী দোহা যাওয়ার জন্য তেহরানের বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আল জাজিরা। আল জাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ইরান পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয়া হলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইরানি বন্দীদের মধ্যে মাত্র দুজন ইরানে ফিরবেন।
পাঁচ মার্কিন বন্দীর মধ্যে তিনজন হলেন, এমাদ শার্গী, মোরাদ তাহবাজ এবং সিয়ামক নামাজি। তারা সবাই পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইরানে কারাবাস করছেন। এদের মধ্যে নামাজীকে ২০১৫ সালে আটক করা হয়। অন্য দুই মার্কিন নাগরিকের পরিচয় জানা যায়নি। তবে পশ্চিম গণমাধ্যমগুলোর মতে এদের একজন নারী।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পাঁচ ইরানী বন্দীর মধ্যে হল, ইরান সরকারের অনিবন্ধিত এজেন্ট হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কাভেহ আফ্রাসিয়াবি, ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৪০ বছর বয়সী মেহরদাদ মইন আনসারি, ইরানের গোপনীয়তা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা আমিন হাসানজাদেহ।
ইরানে অবৈধভাবে গবেষণাগারের সরঞ্জাম রপ্তানির অভিযোগে অভিযুক্ত কানাডীয় নাগরিক রেজা সারহাংপুর কাফরানি, ইরানে অবৈধভাবে প্রযুক্তি এবং পণ্য রপ্তানির ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৪৪ বছর বয়সী দ্বৈত নাগরিক কামবিজ আত্তার কাশানি।
সোমবার ইরানের সরকারি প্রেস টিভিতে এক সংবাদ সম্মেলনে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, চুক্তির অন্যান্য নিয়মের পাশাপাশি বন্দী মুক্তি ও সম্পন্ন হবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ইরান সরকার এই পাঁচ মার্কিন নাগরিককে অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে।
সিএনএন জানায়, বন্দী বিনিময় ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ করা ইরানি তহবিলের ৬ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সুইজারল্যান্ড থেকে কাতারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে বলে কাতারের পক্ষ থেকে ইরানি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
সূত্রগুলোর বরাতে সিএনএন জানায়, বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে কাতারের অ্যাকাউন্টে যে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে তা শুধুমাত্র ইরান মানবিক ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে এবং প্রতিটি লেনদেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনা হয়ে আসছিলো। এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করে।
কিউটিভি/আয়শা/১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/রাত ৯:২১