
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি এ সিদ্ধান্তকে ‘জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, ‘গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। ’বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলার সময় অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আলবানিজ বলেন, মার্কিন পদক্ষেপে তিনি নীরব থাকবেন না।
আলবানিজ জোর দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কর্তৃক আরোপিত শাস্তি তার ‘ন্যায়বিচার এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার প্রচেষ্টা’ থামাতে পারবে না। ’তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের কৌশল তাকে ‘মাফিয়াদের ভয় দেখানোর কৌশল’ মনে করিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ ভীত হলে এবং এসবের সঙ্গে জড়িত হওয়া বন্ধ করলেই কেবল নিষেধাজ্ঞা কাজ করবে। ’জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত বলেন, ‘আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপের কারণ হল ন্যায়বিচারের সাধনা। অবশ্যই আমি ইসরাইলের সমালোচনা করেছি। তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ করছে। ’
এর আগে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি নিপীড়নের সমালোচনা ও গণহত্যার নথিপত্র প্রস্তুত করায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। স্থানীয় সময় বুধবার (৯ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। মার্কিন পররষ্ট্রমন্ত্রী আলবানিজের বিরুদ্ধে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের অভিযান’ পরিচালনার অভিযোগ আনেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, আলবানিজ জাতিসংঘের অধীনস্থ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ঘটাতে বৈশ্বিকভাবে অন্যতম সোচ্চার কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। যদিও ইসরাইল ও তার সমর্থকেরা দীর্ঘদিন ধরেই আলবানিজের সমালোচনা করে আসছে এবং তাকে তার জাতিসংঘের পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে আসছে।
আয়শা//১১ জুলাই ২০২৫,/দুপুর ১:৪০