ব্রেকিং নিউজ
রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু কুড়িগ্রামে নবগঠিত জেলা বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল দূর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে আগস্ট বিপ্লবের শহীদ নূর আলমের স্ত্রী খাদিজা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিকের কুড়িগ্রাম থানায় অভিযোগ

আরেকটি পঁচাত্তরের প্রেক্ষাপট তৈরির চেষ্টা চলছে: কাদের

uploader3 | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ - ০৩:৫৬:২১ পিএম

ডেস্ক নিউজ : বিএনপি ও প্রথম আলোর টার্গেট একই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আরেকটি পঁচাত্তরের প্রেক্ষাপট তৈরির চেষ্টা করছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন সেই ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভা যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
   
বক্তৃতায় স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর বিতর্কিত ফটো স্টোরির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এসময়ে আরেকটি পঁচাত্তরের প্রেক্ষাপট তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম আলো ও বিএনপির টার্গেট গণতন্ত্র আর শেখ হাসিনা। পত্রিকাটি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “সাত বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে বক্তব্য নেওয়া, সেটা কি সাংবাদিকতা। স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের দেশাত্মবোধ সৃষ্টির এক অনন্য দিন, অথচ এই দিনে পলিটিক্যাল সিলেক্টটেড বিশেষ এক এজেন্ডা সেটিং এর উদ্দেশ্য এই সংবাদটি প্রকাশ মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার সামিল নয়?”

সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের শত্রু নয় বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “সাংবাদিকরা আমাদের শত্রু নয়। কিন্তু প্রথম আলো আপনাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে। বিএনপিকে আমরা ভাবি প্রতিপক্ষ, বিএনপি আমাদের ভাবে শত্রু। প্রথম আলোও আমাদের শত্রু ভাবে।”

তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ করে আমরা কি ভুল করে ফেললাম! সেই ডিজিটাল মাধ্যমে এখন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। তারা এ বিষয়টা অত্যন্ত চতুরভাবে করে যাচ্ছে।”

রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারের বিবৃতি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রতিষ্ঠান বলছে- সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর জন্যই সরকার এ ধরনের মামলা করেছে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আমি প্রথমে বলতে চাই সরকার কিন্তু এখানে মামলা করেনি। মামলা সাধারণ একজন নাগরিকও করতে পারে। সরকার মামলা করেছে এটা সর্বাগ্রে মিথ্যা। আর ভয় দেখানোর কথা যে বলা হচ্ছে- কাকে ভয় দেখাবো? যাকে ভয় দেখানোর কথা বলা হয়েছে- তিনিই এই দেশের মানুষকে ভয়ের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সংবাদটি যে ভাষায় একটি দিনমজুরের উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে সেটি কি সাধারণ দিনমজুরের বক্তব্য, নাকি প্রথম আলোর দেওয়া বয়ান- সেটি ভাববার সময় এসেছে। ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনার দায় পত্রিকাটির সম্পাদক কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। অথচ ক্ষমা না চেয়ে চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে পত্রিকাটি। তরুণ প্রজন্মকে উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।”

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ,  মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কিউটিবি/অনিমা/০১ এপ্রিল  ২০২৩,/বিকাল ৩:৫৫

▎সর্বশেষ

ad