
ডেস্ক নিউজ : রাজউকের এক কর্মকর্তা বলেন, ভবনটি স্ট্যাবল করার কাজ চলছে। এর আগে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। এর আগে সকালে রাজউকের উন্নয়ন বিভাগের সদস্য তন্ময় দাস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ভবনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শবেবরাতের ছুটির কারণে বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের নথি পেতে বিলম্ব হয়েছে। ভবন নির্মাণে অনুমতি ও আনুষঙ্গিক নিয়ম লঙ্ঘন হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবনটি ভাঙা হবে, নাকি সংস্কার করা হবে–দুপুরে সে বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।’
বিস্ফোরণের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তবে অভিযানে বাদ সাধে স্যুয়ারেজের পানি। এতে বারবারই পিছিয়ে আসতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। সাহায্যের জন্য ফোন দেয়া হয় ওয়াসাকেও। এদিকে মিথেন গ্যাসের ভয়াবহতা এড়াতে রাজধানীর বেজমেন্টকেন্দ্রিক মার্কেটগুলো সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক। ঝুঁকিপূর্ণ প্রমাণিত হলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। পরে সেখানে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। দুদিন ধরে বন্ধ বিধ্বস্ত ভবনটির আশপাশের সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। গুলিস্তান থেকে বংশালগামী দুটি লেনের মধ্যে একটি লেন দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
কিউটিভি/আয়শা/০৯ মার্চ ২০২৩,/বিকাল ৪:৪৫