আমি কেবলই একজন মানুষ: জেসিন্ডা

Ayesha Siddika | আপডেট: ২০ জানুয়ারী ২০২৩ - ১২:৫৩:৪২ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  দেশবাসীকে অবাক করে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অরডার্ন (৪২) চোখের পানি সংবরণ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা সাড়ে পাঁচ বছর কঠিন সময় ছিল। আমি কেবলই একজন মানুষ। আমার এখন সরে দাঁড়ানো দরকার।’ খবর রয়টার্স, বিবিসির।

নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য রোববার ভোট হবে। দলটির নেতা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। নেতা হিসাবে অরডার্নের মেয়াদ ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আসছে নির্বাচনে লেবার পার্টিই জয়ী হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। নিউজিল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী গ্রান্ড রবার্টসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পরবর্তী লেবার নেতা হওয়ার দৌড়ে নামতে চান না।

রাজনীতি বিশ্লেষক বেন টমাস বলেছেন, অরডার্নের ঘোষণা বিরাট এক বিস্ময়, কারণ ২০২০-এর নির্বাচনের সময় দেখা তার দলের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পরবর্তীতে হ্রাস পেলেও দেশের পছন্দের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সবগুলো জরিপে এগিয়ে আছেন তিনি। অরডার্নের পরিষ্কার কোনো উত্তরাধিকারী নেই বলে জানিয়েছেন টমাস। অরডার্ন জানিয়েছেন, কাজ কঠিন ছিল এর জন্য সরে দাঁড়াচ্ছেন না তিনি, বরং অন্যরা আরও ভালো করবে বলে মনে করেন তিনি। চলতি বছর অরডার্নের কন্যা নেভের স্কুলজীবন শুরু হবে। ওই সময় তিনি কন্যার পাশে থাকার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, এখন নেভেকে এটি বলতে পারবেন এবং দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডকে ‘এখন তাদের বিয়ে করার সময় হয়েছে’ বলে জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর জেসিন্ডাকে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তার মধ্যে ছিল নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, আগ্নেয়গিরির প্রাণঘাতী উদ্গিরণ ও করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ।

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন জেসিন্ডা। তিনি হয়ে ওঠেন প্রগতিশীল রাজনীতির বৈশ্বিক ‘মূর্ত প্রতীক’ বা ‘আইকন’। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিপুল জয়ের মধ্য দিয়ে জেসিন্ডা দ্বিতীয় মেয়াদে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন। যদিও এবার তার জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ-সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমতে থাকা, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ও রক্ষণশীল বিরোধীদের পুনরুত্থান। এসব বিষয় জেসিন্ডার ওপর চাপ তৈরি করছিল, যার আলামতও প্রকাশ পেয়েছিল।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২০ জানুয়ারী ২০২৩/দুপুর ১২:৫২

▎সর্বশেষ

ad