লাইফ ষ্টাইল ডেসক্ : শীতকালে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এই সময় যেমন খাওয়া-দাওয়াও বেশ জমিয়ে হয়, তেমনই গ্যাস-অম্বলও বেশি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট, কোমরে ব্যথা শুরু হয়, ব্যথা হয় মলদ্বারেও। পেট পরিষ্কার হয় না ঠিকমতো। ফলে গ্যাস লেগেই থাকে। খাওয়া-দাওয়ায় কোনো রুচি থাকে না। সুস্থ থাকতে এই শীতে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
ইসবগুলের ভুসি: ভুসিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে এবং ওজনও কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে ২ থেকে ৩ চা চামচ ভুসি, কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া প্রতিকার।
ত্রিফলা: ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। তার পরে সেটি খেয়ে ফেলুন। সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।
নারকেল তেল: নারকেল তেলে রয়েছে মিডিয়াম-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মলত্যাগকে উদ্দীপিত করে এবং মল নরম করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ক্যাস্টর ওয়েল: ক্যাস্টর ওয়েল কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর রেচক। ক্যাস্টর ওয়েলে রয়েছে রিসিনোলিক অ্যাসিড, যা শরীর থেকে মল বর্জ্য নির্মূল করতে সহায়তা করে। ঘুমানোর আগে এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর ওয়েল কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে কার্যকরী হতে পারে। তবে গর্ভবতী নারী এবং ঋতুস্রাবের সময় এই প্রতিকার না করাই ভালো।
জোয়ান: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে জোয়ান খেতে পারেন। ইংরেজিতে ‘কারোম সিডস’ নামের এই মসলা আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বেশি পরিচিতি। এটা হজমক্রিয়া ঠিক রাখার পাশাপাশি ওজন কমিয়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। জোয়ান শরীরে গ্যাস্ট্রিক জুস উৎপাদনকে সাহায্য করে, যা হজম প্রক্রিয়ায় উন্নতি ঘটায়। আধা চা চামচ জোয়ান গরম পানিতে ভিজিয়ে পান করুন।
কিউটিভি/আয়শা/০৭ জানুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:৪০