
স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবলে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে। প্রতিপক্ষ ছিল থাইল্যান্ড। আর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল, ২০১৩ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। এক যুগ পর আবারও বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মুখোমুখি দেখা হতে যাচ্ছে।
২০১৩ সালে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ৯-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এক যুগ আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা কেউই নেই বাংলাদেশ দলে। সেই ম্যাচে খেলা সাবিনা খাতুনকে বাংলাদেশ দলের কোচ পিটার বাটলার ডাকেননি। এক যুগের ব্যবধানে বাংলাদেশ দলের অনেক পার্থক্য। এখন বাংলাদেশ নারী এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়া দলের একটি।
নারীদের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাইল্যান্ড। তারা ৫৩তম আর বাংলাদেশের অবস্থান ১০৪। আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় স্বাগতিক থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচ খেলবে ঋতুপর্ণা-আফিদারা। সাড়ে তিন মাস পর আবারও বাংলাদেশের মেয়েরা আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরছে। একইসঙ্গে এই ম্যাচ দিয়ে ব্যাংককের থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল গ্রাউন্ডে আগামী বছরের এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিও শুরু হবে বাংলাদেশ নারী দলের।

বাংলাদেশ দলের নিয়মিত গোলরক্ষক রুপনা চাকমা বাফুফের দেওয়া ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। আমি নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে চাই। অবশ্যই জিততে চাই। সবারই লক্ষ্য এক।’ গোলরক্ষক কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, ‘ব্যাংককে চেষ্টা করছি আমাদের দুর্বল এবং প্রতিপক্ষের শক্তির দিক নিয়ে কাজ করতে। আমরা যারা কোচিং স্টাফে আছি, মেয়েদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি। টেকনিক্যাল, ট্যাকটিক্যাল যে ইনফরমেশন দেওয়ার দরকার, সেটা দিচ্ছি। চেষ্টা করছি তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটা আদায় করে নিতে।’প্রথম প্রীতি ম্যাচে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মেয়েরা। এরপর দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে আগামী ২৭ অক্টোবর।
আয়শা/২৪ অক্টোবর ২০২৫,/দুপুর ২:০০






