
স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপের পর চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপেও মুখোমুখি হয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান। উভয় টুর্নামেন্টেই দুটি বিষয় মিলে গেছে। তা হচ্ছে– ভারতের কাছে পাকিস্তানের বড় হার এবং ম্যাচে দুই দলের ক্রিকেটাররা হাত মেলাননি। যা পুরো এশিয়া কাপজুড়েই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। সেই বিতর্ক হঠাৎ ফিরে এসেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ শুরুর আগমুহূর্তে।
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মাঝে ম্যাচও বাড়তি উন্মাদনা জাগায় ক্রিকেটভক্তদের মাঝে। মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি সেই উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করে ক্রিকেটারদের বাকযুদ্ধ ও চাঞ্চল্যকর আচরণ। ভারতকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশিত ভিডিওতে ক্রিকেটাররা ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছেন নাকি আগের কোনো প্রোমোশনাল ভিডিও’র অংশ যোগ করে বানানো হয়েছে সেটি অনিশ্চিত। যেখানে নারী দলের অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি, সোফি মলিনিক্স, অ্যালানা কিং ও গ্রেস হ্যারিস এবং পুরুষ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মিচেল মার্শ, জ্যাক-ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, জশ হ্যাজলউড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল হাসি-ঠাট্টায় মাতেন।
বিদ্রুপাত্মক ওই ভিডিও নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় স্পোর্টস চ্যানেল ‘কায়ো স্পোর্টস’। ভিডিও’র শুরুতে এক সঞ্চালক বলতে থাকেন– ‘আমরা জানি ভারত দারুণ এক দল, কিন্তু আমরা আরেকটি বিষয় আবিষ্কার করেছি যে, তাদের একটি দুর্বলতা আছে।’ তখন আরেক সঞ্চালক বলেন– ‘আমরা জানি তারা পারস্পরিক প্রথাগত সৌজন্যতা পছন্দ করেন না, যেমন- হ্যান্ডশেক। তাহলে ম্যাচ শুরুর আগে তাদের বিভ্রান্ত করে দেওয়া যায় না?’
ওই ভিডিও প্রকাশের পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ভারতীয় ক্রিকেটভক্তরা। তাদের রোষানলে পড়ে সেই ভিডিও সরিয়ে নেয় কায়ো স্পোর্টস। এর আগে জম্মু-কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামরিক সংঘাতে জড়ায় ভারত-পাকিস্তান। যে কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে এশিয়া কাপে হাত মেলানো থেকে দূরে থাকেন সূর্যকুমার-শিভাম দুবেরা। যা নিয়ে আসরজুড়ে কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। যেখানে তিনবার মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। প্রতিবারই জিতেছে ভারত, এমনকি ফাইনালেও সালমান আগাদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। পরবর্তীতে নারী বিশ্বকাপেও হারমনপ্রিত কৌর ও ফাতিমা সানা খানরা ‘নো হ্যান্ডশেক’ রীতি মেনে চলছেন।
আয়শা/১৮ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৩:৫৩