ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

যেখানে সাদা তিল হয়ে যায় কালোজিরা

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ০৯:৪১:৫৫ পিএম

ডেস্ক নিউজ : সাদা তিলে কালো রং ও অত্যাধুনিক কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে কালো জিরা! শুনে অবাক লাগলেও সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজটিই করে আসছেন টাঙ্গাইলের হাসমত আলী। তবে শেষ রক্ষা হলো না তার। রোববার বিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পুলিশ সহকারে হাজির হন তার গোডাউনে, মেলে অভিযোগের সত্যতা। পরে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় তিল। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামের হাসমত আলী। বিদেশ থেকে ফিরে তিনি তিলের ব্যবসা শুরু করেন। তাইতো সাধারণ মানুষের কাছে হাসমত তিল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন হাটবাজার থেকে কম দামে সাদা তিল ক্রয় করে গোডাউনে নিয়ে তাতে কালো রং ও কেমিক্যাল মিশাতেন। পরে রোদে শুকিয়ে কালো জিরা হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন। তিন থেকে চার হাজার টাকা মণ তিল কিনে রং মেশানোর পর তা হয়ে যেত ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা।

ব্যবসার সুবিধার্থে শিয়ালকোল ও গোবিন্দাসী এলাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন দুটি টিনের ঘর। বেশিদিন আড়াল করে রাখতে পারেননি প্রতারণার রহস্য। রোববার দিনভর তার গোডাউনে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সত্যতা মিলে হাসমতের অপকর্মের, হাতেনাতে ধরা হয় তাকে। জরিমানা করা হয় ১ লাখ টাকা। পরে ৬০ বস্তা কালো রং ও কেমিক্যাল মেশানো তিল উদ্ধার করে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

নিজের অপকর্ম স্বীকার করে তিল ব্যবসায়ী হাসমত আলী জানান, অনেক দিন ধরেই তিনি এ কাজ করে আসছেন। ভবিষ্যতে এরকম কাজ না করার জন্য মুচলেকা প্রদান করেন। 

স্থানীয়রা জানান, সাদা তিলে কালো রং মিশিয়ে কালো জিরা হিসেবে বিক্রি করার বিষয়টি শুনে সবাই হতবাক। নিজে বড়লোক হতে প্রতারণা করে মানুষ ঠকানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু জরিমানা নয়, আরও বড় শাস্তি দাবি করেন তারা। 

ভূঞাপুর থানার ওসি একেএম রেজাউল করিম বলেন, তিলে রং মিশিয়ে কালো জিরা তৈরির খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। পরে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

টাঙ্গাইল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভূঞাপুরের হাসমত আলীর গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। সেখানে সাদা তিলে কালো রং মিশিয়ে বিক্রির বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে এক লাখ টাকা জরিমানা ও তিল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

 

 

আয়শা/২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ৯:

▎সর্বশেষ

ad