
স্পোর্টস ডেস্ক : ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন হেড কোচ ফিল সিমন্স। পেস বোলিং কোচ শন টেইট আর মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও যোগ দিয়েছেন দলের অনুশীলনে। তিন মাসের জন্য নিয়োগ পাওয়া পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডও ছিলেন ট্রেনিং সেশনে। ছিলেন গত কয়েকদিন ধরে শিষ্যদের শারীরিকভাবে প্রস্তুত করা ফিটনেস কোচ নাথান কেলিও।
খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন অনুশীলনে। অনুপস্থিত ছিলেন কেবল তাওহীদ হৃদয়। ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। আর ছিলেন না পাকিস্তানি স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। তাদেরকে ছাড়াই দুপুর ২টা থেকে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু হয়। অনুশীলন সেশনটা ছিল মূলত ক্লোজডোর। ২০ মিনিটের জন্য গণমাধ্যমকে অনুশীলন দেখার সুযোগ দেয়া হয়।
অনুশীলনের শুরুতেই সব খেলোয়াড় এবং কোচদের নিয়ে গোল হয়ে পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য সংক্রান্ত একটা বার্তা দেন হেড কোচ সিমন্স। এসময় মোনাজাত করে সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন ক্রিকেটাররা। মোনাজাত শেষে সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও ক্লাস টিচারের মতো বোর্ডে লেখা কিছু একটা পরিকল্পনা সম্পর্কে ব্রিফ করেন ক্রিকেটারদের। এরপরই শুরু হয় স্কিল সেশন।
পেস বোলিং কোচ হলেও খেলোয়াড়দের ফিল্ডিং অনুশীলনে বেশ তৎপর ছিলেন শন টেইট। দূরে দাঁড়িয়ে গত কয়েকদিনের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করছিলেন কোচ নাথান কেলি। সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছিলেন ফিল সিমন্স। গণমাধ্যমকে দেয়া ছোট সেশনে এটুকুই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে।
মাঠের অনুশীলন শেষ করে মিরপুরের ইনডোরে চলে যান ক্রিকেটাররা। সেখানেই উডের কাছে পাওয়ার হিটিংয়ের দীক্ষা নেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মেহেদী মিরাজরা। এসময় বেজবল ব্যাটের মতো দেখতে এক ধরনের স্টিক নিয়ে অনুশীলন করতে দেয়া যায় লিটন দাসদের।
আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার হিটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। আর বাংলাদেশ এই দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে উন্নতি করার চিন্তা থেকেই জুলিয়ান উডকে কোচ হিসেবে এনেছে বিসিবি। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা উডের হাত ধরেই বদলে যাবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং স্টাইল।
আয়শা/১৫ আগস্ট ২০২৫/সন্ধ্যা ৭:০৫