
ডেস্ক নিউজ : অনেকে জানতে চান, স্ত্রীর ওয়াজিব কোরবানি স্বামীর টাকায় আদায় হবে? এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কোরবানি ওয়াজিব এমন প্রত্যেক মুসলমান, প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন (যিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন নন) মুকিম (যিনি মুসাফির নন) পুরুষ ও নারীর ওপর যারা ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মালিক থাকে।
নগদ অর্থ, সোনা-রুপা, অলংকার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজনে লাগে না এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাব কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিন্ন ভিন্ন সম্পদের একত্র মূল্যের পরিমাণ যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমান হয়, তাহলেও কোরবানি ওয়াজিব হবে।
কোরবানির ক্ষেত্রে নেসাব পরিমাণ সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়; বরং জিলহজের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যে কোনো সময় নেসাবের মালিক হলেও কোরবানি ওয়াজিব হবে। এক পরিবারে একাধিক ব্যক্তি সামর্থ্যবান হলে প্রত্যেকের পক্ষ থেকে পৃথক কোরবানি করা ওয়াজিব। স্বামী ও স্ত্রী দুজনই সম্পদশালী ও সামর্থ্যবান হলে স্বামী ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে পৃথক কোরবানি করতে হবে। স্বামীর কোরবানি স্ত্রীর জন্য যথেষ্ট হবে না। একইভাবে বাবার কোরবানি সামর্থ্যবান ছেলে বা মেয়ের জন্য যথেষ্ট হবে না যদি তারা সামর্থ্যবান হয় অর্থাৎ উল্লিখিত পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়।
তবে স্বামী যদি নিজের কোরবানির পাশাপাশি নিজের টাকায় সামর্থ্যবান স্ত্রীর পক্ষ থেকেও কোরবানি করেন বা বাবা যদি নিজের টাকায় সম্পদশালী ছেলে বা মেয়ের পক্ষ থেকেও কোরবানি করেন, তাহলে তাদের ওয়াজিব কোরবানি আদায় হয়ে যাবে। ওয়াজিব কোরবানি আদায়ের জন্য নিজের টাকা ব্যয় করে কোরবানি করা জরুরি নয়। উপহার হিসেবে পাওয়া পশু কোরবানি করলেও ওয়াজিব কোরবানি আদায় হয়ে যায়।
কিউটিভি/আয়শা/২৪ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:৪৫