ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু কুড়িগ্রামে নবগঠিত জেলা বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল

‘লাইভ ওয়েটে’ কুরবানির পশু বিক্রি করা কি জায়েজ?

Ayesha Siddika | আপডেট: ২২ মে ২০২৫ - ০৫:৩১:৫৬ পিএম

ডেস্ক নিউজ : আমাদের দেশে কুরবানির হাটগুলোতে ইদানীং জীবিত পশুর ওজন মাপার জন্য বসানো হয়েছে ওজন মাপার ডিজিটাল স্কেল। এসব স্কেলের এক পাশ দিয়ে গরু বা ছাগল প্রবেশ করিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখে আরেক পাশ দিয়ে বের করা হয়। এতে স্কেলে ওই পশুটির ওজন পরিমাপ হয়ে যায়। 

পশু কেনাবেচায় ক্রেতা-বিক্রেতার মূল্য নির্ধারণের সন্দেহ দূর করার জন্যই এ স্কেল বসানো হয়েছে। ছোট সাইজের গরু কেজিপ্রতি ৩০০-৩২০ টাকা দরে আর বড় ও সুন্দর আকৃতির গরু ৩৫০-৪০০ টাকা দরে বিক্রির চুক্তি হওয়ার পর ওজন মাপার স্কেলে উঠানো হয় এবং এতে সর্বমোট কেজির সংখ্যা ও তার দাম বেরিয়ে আসে। 

তাই যারা গরু বিক্রি করেন তারাও বিক্রির সময় গরুর ওজন দেখেন, আর যারা কেনেন তারাও ওজন দেখে নেন। এখন প্রশ্ন হলো— শরিয়তের দৃষ্টিতে এভাবে জীবন্ত গরু-ছাগল ওজন করে বিক্রি করা বৈধ হবে কিনা? ফিকহে হানাফির পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে যদিও জীবন্ত পশু ওজন করে বিক্রিকে নাজায়েজ বলা হয়েছে; কিন্তু পরবর্তী সময় হাঁস-মুরগি ওজন করে বিক্রির প্রচলনের কারণে মুফতিয়ানে কেরাম একে জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছেন। আর বর্তমানে জীবন্ত গরু-ছাগলও ওজন করে বিক্রির প্রচলন হয়ে গেছে, বিধায় তাও জায়েজ হবে। উপরন্তু এ পদ্ধতিতে ক্রেতা-বিক্রেতার ধোঁকাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। 

এ ছাড়া আলোচ্য পদ্ধতিটি পশুর মূল্য নির্ধারণের একটি প্রক্রিয়া মাত্র। আগেকার কিতাবসমূহে ওই পদ্ধতিতে পশু বিক্রি নাজায়েজ বলার একটি কারণ এও ছিল যে, চুক্তির সময় পশুর নিশ্চিত চূড়ান্ত মূল্য কারওই জানা থাকে না। কিন্তু চুক্তির মজলিসেই যখন স্কেল দ্বারা মেপে তার সঠিক পরিমাপ বের করা হয়, তখন তার পুরো মূল্যও উভয়পক্ষের জানা হয়ে যায়। আর এতে তাদের মাঝে কোনোরূপ ঝগড়া সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা বাকি থাকে না।

যেমন ক্রেতা কোনো পশু দেখে পছন্দ করল, গরুটি কেজিপ্রতি কত টাকা দরে বিক্রি হবে তা নির্ধারণ করা হলো এরপর লাইভ ওয়েট দেখার পর ক্রেতা-বিক্রেতার সম্মতিতে দাম নির্ধারণ করা হলো, তাহলে এই বেচাকেনা জায়েজ হবে।কারণ এ ক্ষেত্রে ওজন  হিসেবে গরু বা ছাগলটির গোশত ক্রয়-বিক্রয় করা হয়নি বরং এটার মূল্য অনুমান করার জন্য গরুটি ওজন করা হয়েছে এবং ক্রেতা গরুটি চেখে দেখেও ওই দামে কিনতে সম্মত হয়েছেন।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২২ মে ২০২৫, /বিকাল ৫:২০

▎সর্বশেষ

ad